‘দুর্ভাগ্য মানিক মিয়ার ছেলেকে ডিভিশনের জন্য আবেদন করতে হচ্ছে’
২৮ অক্টোবর ২০১৮ ২০:৫১
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: ‘আমাদের দুর্ভাগ্য বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে মানিক মিয়ার ছেলেকে ডিভিশনের জন্য আবেদন করতে হচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেছে ড. কামাল হোসেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে কারাগারে প্রথম শ্রেণির বন্দির মর্যাদা দিতে করা আবেদনের শুনানিকালে তিনি এসব কথা বলেন।
রোববার (২৮ অক্টোবর) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি শেষে সোমবার আদেশের জন্য রেখেছেন।
মইনুল হোসেনের সহধর্মিনী সাজু হোসেনের করা এক আবেদনের ওপর শুনানি শেষে আদালত আদেশের দিন নির্ধারণ করেন।
আদালতে মইনুল হোসেনের পক্ষে শুনানি করেন ড. কামাল হোসেন ও খন্দকার মাহবুব হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেসুর রহমান।
শুনানিতে ড. কামাল হোসেন বলেন, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে যে মামলায় কারাাগরে পাঠানো হয়েছে সেটা জামিনযোগ্য। তারপরও তাকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন সাবেক সংসদ সদস্য, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি। তিনি দৈনিক ইত্তেফাকের মালিক তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার ছেলে। এই মানিক মিয়া বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে কারাগারে ছিলেন। তার নামে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ করা হয়েছে। অথচ তাকে কারাগারে ডিভিশন না দিয়ে সাধারণ কয়েদির সঙ্গে রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, মইনুল হোসেনের জন্য কেন ডিভিশন চেয়ে আবদেন করতে হবে? রাষ্ট্র নিজে থেকেই তো ডিভিশন দেবে, কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য। বঙ্গবন্ধুর এই বাংলাদেশে আজ মানিক মিয়ার ছেলেকে ডিভিশনের জন্য আবেদন করতে হচ্ছে।
এ সময় আদালত রাষ্ট্রপক্ষের বক্তব্য জানতে চেয়ে বলেন, মি. ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল। এটা কি হচ্ছে? সামান্য একটি বিষয় নিয়ে কি আমাদের হস্তক্ষেপ করতে হবে? জেলার (তত্বাবধায়ক) কোন এখতিয়ার বলে তাকে সাধারণ হাজতীদের সঙ্গে রাখা হবে অাপনি বলেন?
এরপর অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতে উপস্থিত হয়ে বলেন, আইন অনুযায়ী বিচারিক হাকিম আদালত এ বিষয়ে আদেশ দেবেন। সরাসরি হাইকোর্টে আসার সুযোগ নেই। এ ছাড়া হাকিম আদালতের কোনো আদেশের কপি এখানে নেই। তাই এটা অসম্পূর্ণ আবেদন।
এ সময় খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ঢাকার হাকিম আদালতের আদেশের পর আমরা রংপুর আদালতে ডিভিশন চেয়ে আবেদন করেছি। কিন্তু কোনো লিখিত আদেশ দেয়নি ওই আদালত। ফলে এখানে তা দিতে পারিনি।
এ সময় আদালত অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে জানতে চান, মইনুল হোসেনকে ডিভিশন দেওয়া যায় কি না?
জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আইন অনুযায়ী বিষয়টি দেখবে বিচারিক আদালত।
এ সময় খন্দকার মাহবুব হোসেন, উচ্চ পর্যায় থেকে বলা হলো, মামলা করেন। আমরা দেখবো। এটা বলার পরই দেশের বিভিন্ন স্থানে একের পর এক মামলা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, এ পর্যন্ত ১৮টি মামলা হয়েছে বলে শুনেছি। তিনি বলেন, আমরাতো তার জামিন চাচ্ছি না। আমাদের আবেদন ডিভিশনের জন্য।
সারাবাংলা/এজেডকে/এমআই