কারিগরি শিক্ষা বোর্ড বিলসহ ৪ বিল পাস
২৮ অক্টোবর ২০১৮ ২২:৪২
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে দেশে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে প্রচলিত অন্যান্য শিক্ষা বোর্ডের সমমর্যাদা দিয়ে ‘বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড বিল’ পাস করেছে সংসদ।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের ২৩তম অধিবেশনে রোববার (২৮ অক্টোবর) বিলটি সংসদের স্থিরিকৃত আকারে কণ্ঠভোটে পাস হয়। বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন শিক্ষমন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এর আগে, বিলের ওপর আনীত পীর ফজলুর রহমানের (সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য) একটি সংশোধনী গৃহীত হয়। অপর সংশোধনী, যাচাই ও বাছাই কমিটিতে প্রেরণ এবং জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। গত ২৪ অক্টোবর সম্পূরক কর্মসূচিতে বিলটি উত্থাপন করা হয়।
বিলে সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার/মধ্যম সারির ব্যবস্থাপক সমতুল্য ডিপ্লোমা প্রকৌশল সনদ প্রদানসহ শ্রম বাজারের চাহিদার আলোকে উচ্চ দক্ষ (সুপারভাইজার), দক্ষ, আধা দক্ষ, মৌলিক দক্ষ, মৌলিক কর্মী— পাঁচটি কর্মশ্রেণিতে বিভক্ত করে সনদ দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। এজন্য বিলে ১৪টি ক্রমিকে কারিগরি শিক্ষা কোর্সের বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে— ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং, ডিপ্লোমা ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংসহ এগ্রিকালচার, ফিসারিজ, ফরেস্ট্রি, ন্যাভাল (ইলেট্রিক্যালসহ অন্যান্য), আর্মি (টেলিকমিউনিক্যাশনসহ অন্যান্য), মেডিক্যাল টেকনোলজি, লাইভস্টক ও টুরিজম ডিপ্লোমা সনদসহ আধুনিক জীবনযাপনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা কার্যক্রমের ডিপ্লোমা। এছাড়া জাতীয় প্রাক-বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ শীর্ষক দুইটি সনদ দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়, দেশের কারিগরি শিক্ষার স্বীকৃতি, পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণকল্পে বিদ্যমান দ্য টেকনিক্যাল এডুকেশন অ্যাক্ট ১৯৬৭ রদ করে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড আইন, ২০১৮ প্রণয়ন হয়। এসএসসি (ভোকেশনাল), দাখিল (ভোকেশনাল), বিএম ও ডিপ্লোমা পর্যায়ের সকল শিক্ষা, গবেষণা ও প্রশিক্ষণ সম্প্রসারণ এবং দেশে বিদেশে প্রযুক্তিখাকে নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বিলটি আনা হয়।
বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট বিল পাস
বাংলাদেশি পণ্য ও সেবার জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রত্যয়নপত্রপ্রাপ্তি সহজতর করতে এবং আমদানি পণ্যের ক্ষেত্রেও আদর্শমান বজায় রাখার বিধান রেখে সংসদে পাস হয়েছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন বিল ২০১৮। বিলটি পাস করার প্রস্তাব করেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
এর আগে বিলের ওপর আনিত পীর ফজলুর রহমানের (সুনামগঞ্জ-৪) একটি সংশোধনী গৃহীত হয়। অন্য সংশোধনী, যাচাই ও বাছাই কমিটিতে প্রেরণ এবং জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।
উচ্চ আদালতের নির্দেশে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত জারি করা অধ্যাদেশ কার্যকারিতা হারানোর ফলে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০০৩ সালে সংশোধিত ‘বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন অধ্যাদেশ ১৯৮৫’ আইনটি সংশোধন, পরিমার্জন ও যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে বিলটি আনা হয়। এই আইনের মাধ্যমে বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্যের মান দেশি-বিদেশি বাজারে প্রতিযোগিতায় গ্রহণযোগ্য করে তোলা যাবে, শিল্প পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের মান নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
মৎস্য সঙ্গনিরোধ বিল পাস
পিরানহা, আফিকান মাগুরের মতো বিপদজনক প্রজাতির মাছ, মাছের রেনু, পোনা পিএল ইত্যাদির অনুপ্রবেশ রোধের জন্য সংসদে পাস হয়েছে ‘মৎস্য সঙ্গনিরোধ বিল ২০১৮। ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বে বিলটি পাস করার প্রস্তাব করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। এটি একটি নতুন আইন। মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি, মৎস্য পণ্যের গুণগত মান বজায় রাখার পাশাপাশি অনুমোদিতভাবে পিরানহা, আফিকান মাগুরের মতো বিপদজনক প্রজাতির কোনো মাছ, মাছের রেনু, পোনা পিএল ইত্যাদির অনুপ্রবেশ রোধের জন্য বিলটি আনা হয়।
মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট বিল পাস
এছাড়া স্বল্প ব্যয়ে পরিবেশবান্ধব উন্নত মৎস চাষ ব্যবস্থাপনার জন্য প্রযুক্তর উদ্ভাবন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, মান নিয়ন্ত্রণ ও বিপণন ব্যবস্থাপনায় আরও গতিশীলতা আনতে ‘বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট বিল ২০১৮’ পাস করেছে সংসদ। ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বে বিলটি পাস করার প্রস্তাব করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ।
উচ্চ আদালতের নিদের্শে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত জারি করা অধ্যাদেশ কার্যকারিতা হারানোর ফলে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ‘ফিসারিজ সিসার্চ ইনস্টিটিউট অধ্যাদেশ ১৯৮৪’ আইনটি সংশোধন, পরিমার্জন ও যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে বিলটি আনা হয়।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর
বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড বিল বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট বিল মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট বিল মৎস্য সঙ্গনিরোধ বিল