Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঝুঁকিপূর্ণ, ভেঙে ফেলা হবে সচিবালয়ের ১ নম্বর ভবন


২৯ অক্টোবর ২০১৮ ০৯:১৬

।। আজমল হক হেলাল, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।

ঢাকা: বিভিন্ন সংকটে আক্রান্ত সচিবালয়। প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে জনবল বাড়ানোর কারণে সচিবালয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অফিসে তৈরি হয়েছে তীব্র স্থান সংকট। এর মধ্যে পৃথক টয়লেটের অভাবে ভুগতে হচ্ছে নারী কর্মকর্তাদের। এদিকে, সচিবালয়ের পুরনো হয়ে যাওয়া বেশ কয়েকটি ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। ১ নম্বর ভবনটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্তও হয়েছে। সচিবালয়ের কর্মরত একাধিক সূত্র থেকে এসব সমস্যার তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞাপন

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলেছে, অনেক মন্ত্রণালয়ে স্থান সংকট থাকায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বসার জন্য স্থান বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ফলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসে অফিসের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হচ্ছে। এত করে দাফতরিক কাজের গতিশীলতা ব্যাহত হচ্ছে।

সূত্রগুলো বলেছে, স্থান সংকট নিরসনে নতুন ভবন নির্মাণ করার কথা রয়েছে। তবে এর আগে সচিবালয়ের ১ নম্বর ভবনটি ভেঙে ফেলা হবে। কিন্তু কবে ভবনটি ভাঙা হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। সচিবালয়ের ভেতরে নতুন ভবন নির্মাণের প্রকল্পটি একনেকের বৈঠকে অনুমোদন পেলেই ভবনটি ভেঙে সেখানে নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে বলে জানা গেছে।

এসব বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে পূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব শহিদুল্লা খন্দকার সারাবাংলাকে বলেন, প্রতিটি মন্ত্রণালয়েই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বসার জন্য স্থান সংকট রয়েছে। তারা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে দাফতরিক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এ জন্য নতুন ভবন নির্মাণের পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। একনেকের বৈঠকে প্রকল্পটি অনুমোদিত হলে ১ নম্বর ভবনটি ভেঙে সেখানে নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে।

বিজ্ঞাপন

সচিবালয়ের  ভেতরে নতুন একটি ভবন নির্মাণের কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, এ ভবনটি কার্যক্রম শুরু করলেও স্থান সংকট কিছুটা কমবে।

সচিবালয়ের অন্য একটি সূত্র জানায়, সচিবালয়ের প্রতিটি মন্ত্রণালয়কে জনবল সংক্রান্ত  তথ্য ছক তৈরি করতে বলা হয়েছে। তাতে তারা জানিয়েছে— মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীর কক্ষের আকার হবে ৩৬৬ বর্গফুট। এছাড়া, সচিব ও অতিরিক্ত সচিব মর্যদার কর্মকর্তাদের জন্য ৩২৫ বর্গফুট; যুগ্ম সচিব ও সমপদমর্যদার কর্মকর্তাদের জন্য ২২৫ বর্গফুট এবং উপসচিব ও সমপদমর্যাদার কর্মকর্তাদের জন্য ১৬০ বর্গফুট আকারের কক্ষ নির্মাণ করা হবে। এসব কক্ষের প্রতিটিতে থাকবে সংযুক্ত টয়লেট। অন্যদিকে, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তাদের জন্য ১০০ বর্গফুট আকারের কক্ষ এবং তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের জন্য ৬০ বর্গফুট আকারের কক্ষ তৈরির কথা জানিয়েছে মন্ত্রণালয়গুলো।

এসব বিষয় নিয়ে সচিবালয় কর্মরত একজন নারী সিনিয়র সহকারী সচিব নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, অফিসে স্থান সংকটের পাশাপাশি টয়লেট নিয়েই সমস্যা বেশি। আমাদের কমন টয়লেট ব্যবহার করতে হয়, অথবা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কক্ষে গিয়ে টয়লেট ব্যবহার করতে হয়। এ পরিস্থিতি আমাদের জন্য খুবই বিব্রতকর।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তৃতীয় শ্রেণির একজন নারী কর্মচারীও একই সমস্যার কথাই জানালেন।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর

ঝুঁকিপূর্ণ ভবন সচিবালয় সচিবালয়ের ভবন সংস্কার

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর