খুলনায় পাটকল শ্রমিকদের কর্মবিরতির ৮ দিন
৬ জানুয়ারি ২০১৮ ১৩:৫৪
ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, খুলনা
বকেয়া মজুরিসহ এগারো দফা দাবিতে খুলনার আট পাটকলের উৎপাদন বন্ধের অষ্টম দিনেও কর্মবিরতি পালন করছে পাটকল শ্রমিকরা। খুলনার নয়টি পাটকলে উৎপাদন বন্ধে ক্ষতি প্রায় ১৬ কোটি টাকা। দুই মাসের মজুরি না পেয়ে আর্থিক সংকটে খুলনার নয় রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের অর্ধলাখ শ্রমিক এখন রাজপথে আন্দোলন করছে।
শনিবার খুলনা যশোর অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের শ্রমিকরা স্ব স্ব মিলে গেটের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করছে। খালিশপুর, আটরা ও নওয়াপাড়া শিল্প এলাকার আট পাটকলের গেটের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
গত কয়েকমাসে পাট রফতানি করতে না পারায় প্রায় ২১০ কোটি টাকার ২১ হাজার ৪ শত ৭৪ টন পাট মজুদ রয়েছে। এরইমধ্যে সুদানসহ বিভিন্ন দেশে পাট রফতানি করা হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে সে টাকা হাতে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। টাকা হাতে পেলে শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি দেওয়া হবে বলে জানান বিজেএমসি খুলনা জোনের জিএম গাজী শাহাদাৎ হোসেন।
এদিকে বিজেএমসির সকল পাটকলের শ্রমিক নেতারা কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে যোগদান করতে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। শ্রমিকদের সকল দাবী পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কাজে যোগ দিবে না বলে জানান বাংলাদেশ রাষ্ট্রায়ত্ত জুট মিল সিবিএ- নন সিবিএ পরিষদের কার্যকরী সভাপতি সোহরাব হোসেন।
শ্রমিকদের এগারো দফাগুলোর মধ্যে রয়েছে পে-কমিশনের ন্যায় একই তারিখ থেকে মজুরি কমিশন ঘোষণা ও বাস্তবায়ন,অবিলম্বে রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পে শ্রমিকদের জন্য মজুরি কমিশন বোর্ড গঠন, ২০% মহার্ঘ্য ভাতার অপরিশোধিত বকেয়া এককালীন পরিশোধ, বকেয়া মজুরি-বেতন পরিশোধ, প্রতি সপ্তাহে ও মাসে শ্রমিক-কর্মচারীদের মজুরি-বেতন নিয়মিত প্রদান, বদলী শ্রমিকদের স্থায়ীকরণের দাবি।
২৮ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৯টায় ৮ সপ্তাহের মজুরির দাবিতে প্লাটিনাম জুট মিলের উৎপাদন বন্ধ করে দেন শ্রমিকরা। পরবর্তীতে সকাল ১০টায় একে একে ক্রিসেন্ট, দৌলতপুর ও স্টার জুট মিলের শ্রমিকরা তাদের মিলের উৎপাদন বন্ধ রেখে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ চারটি মিল বন্ধের সংবাদ পেয়ে দুপুর ২টার দিকে আটকরা-গিলাতলা শিল্পাঞ্চলের ইস্টার্ন এবং যশোর অভয়নগরের জে জে আই জুট মিলের উৎপাদন বন্ধ করে দেন শ্রমিকরা। ওইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আলীম জুট মিলের শ্রমিকরা উৎপাদন বন্ধ করে দেন। আর শনিবার খালিশপুর জুট মিলের শ্রমিকরা উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছেন।
সারাবাংলা/আরসি