দুই আ.লীগ নেতা হত্যা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৫ জন রিমান্ডে
২৯ অক্টোবর ২০১৮ ১৮:৩৮
।। ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট ।।
বাগেরহাট : বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের দুই নেতা হত্যা মামলার প্রধান আসামি ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ফকিরসহ পাঁচ আসামিকে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। অস্ত্র আইনে দায়ের হওয়া মামলায় দুই দিনের রিমান্ড শেষে সোমবার (২৯ অক্টোবর) আসামিদেরকে আদালতে হাজির করলে আরও তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
মোরেলগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ঠাকুর দাশ মন্ডল বলেন, জোড়া খুনের ঘটনায় আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা হয়েছে। ওই মামলার প্রধান আসামি চেয়ারম্যান শহিদুল ফকিরসহ সকল আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এ ছাড়াও হত্যা মামলায় সোমবার থেকে আবারও রিমান্ডে নেওয়া হবে আসামিদের। রিমান্ডে থাকা অন্য আসামিরা হচ্ছেন, ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার আবুয়াল ফকির, চৌকিদার আবুল শেখ, জুলহাস ডাকুয়া ও কামাল হোসেন।
অস্ত্র আইনে দায়ের হওয়া মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক আসাদুজ্জামান মিন্টু বলেন, এই মামলার সব আসামিই গ্রেফতার আছেন। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃতসহ তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র, বন্দুকের তিনটি কার্তুজ, রিভলবারের দুই রাউন্ড গুলি ও একটি ধারালো ছোরা উদ্ধার করা হয়েছে। রিমান্ডে আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে যা তদন্তের স্বার্থে প্রকাশ করা যাচ্ছে না জানান বলে এ কর্মকর্তা ।
দলীয় কোন্দল ও ঘের বিরোধের জের ধরে গত ১ অক্টোবর দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়ন আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক আনছার আলী দিহিদারকে (৫২) বাড়ী থেকে ও যুবলীগ নেতা শুকুর আলী শেখকে (৪০) দৈবজ্ঞহাটি বাজার থেকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে, কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় অভিযোগ ওঠে ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে। এ সময় আনছার আলী দিহিদারের বসতবাড়ি ভাংচুর ও তার স্ত্রীকে পিটিয়ে দুই পা ভেঙ্গে দেয় সন্ত্রাসীরা।
ঘটনার কিছুক্ষন পরে পুলিশ ইউনিয়ন পরিষদের মিলনায়তন থেকে নিহতদের লাশ ও আহতদেরকে উদ্ধার করে। ওই ঘটনায় দায়ের হওয়া আলাদা দুটি মামলায় ১০ দিন করে মোট ২০দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। আদালত দুই মামলায় ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সারাবাংলা/এসএমএন