Tuesday 26 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘অবরুদ্ধতার বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের লড়াই অব্যাহত রাখবে উদীচী’


২৯ অক্টোবর ২০১৮ ২০:২৪

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

চট্টগ্রাম ব্যুরো: উদীচী চট্টগ্রাম জেলা সংসদের সভাপতি শহীদ জায়া বেগম মুশতারি শফি বলেছেন, উদীচী তার জন্মলগ্ন থেকেই দেশের মানুষকে ঘোর আঁধারে পথ দেখিয়ে আসছে। শত প্রতিকূল পরিস্থিতিতে উদীচী কখনো তার লক্ষ্য থেকে বিন্দুমাত্র বিচ্যুত হয়নি। ত্রিশ লক্ষ মানুষের রক্তের বিনিময়ে পাওয়া এই বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িকতা, গণতন্ত্রহীনতা আর শোষণ-বৈষম্যের যাঁতাকলে পিষ্ট। এই অবরুদ্ধতার বিরুদ্ধে উদীচী তার আদর্শের সংগ্রাম, গণতন্ত্রের জন্য লড়াই অব্যাহত রাখবে।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে নগরীর চেরাগি পাহাড় এলাকায় দৈনিক আজাদী চত্বরে উদীচীর সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

উদীচী চট্টগ্রাম জেলা সংসদের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য তপন শীল জাতীয় পতাকা এবং বেগম মুশতারি শফি দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে এর উদ্বোধন করেন। এ সময় উদীচীর শিল্পীরা জাতীয় ও দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন।

মুশতারি শফি বলেন, ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে উদীচী গণমানুষের কথা বলে আসছে। উদীচী সব সময় শোষিত মানুষের কথা বলে আসছে। সকল সংগ্রামে, বৈষম্যের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা রক্ষায়, সাম্প্রদায়িকতাকে পরাভূত করতে দেশের মানুষকে সঙ্গে উদীচী গৌরবের সঙ্গে এগিয়ে যাবে। শুধু ৫০ বছর নয়, বাঙালি জাতি যতদিন থাকবে, ততদিন উদীচীর সংগ্রাম টিকে থাকবে।

অনুষ্ঠানে উদীচীর কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ডা. চন্দন দাশ বলেন, উদীচীর দীর্ঘ পথচলায় আছে আনন্দ, আছে বেদনা, প্রাাপ্তি ও হারানোর সাতকাহন। চলার পথে উদীচী যেমন পেয়েছে অনেক সহযাত্রী তেমনি হারিয়েছে বহু স্বজন। পেয়েছে অগণিত সাধারণ মানুষের সাহায্য, সহমর্মিতা, তেমনি পেরিয়েছে পাহাড় প্রমাণ বাধাও। এরপরও উদীচী স্বাধীনতা, সাম্য, মানবতার বাণী ধারণ করে সচেতন করে তুলেছে গণমানুষকে।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) চট্টগ্রাম জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অমৃত বড়ুয়া বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীনের পর যে কোনো গণআন্দোলনে উদীচী তার ভূমিকা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। দেশের যেকোনো সংকটময় মুহূর্তে উদীচী তার করণীয় ঠিক করতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেনি। আজও লড়ে যাচ্ছে শোষণ ও সামপ্রদায়িকতামুক্ত সমাজ গঠনের জন্য।

গণজাগরণ মঞ্চ চট্টগ্রামের সমন্বয়কারী শরীফ চৌহান বলেন, পাকিস্তান আমলে প্রতিষ্ঠার পর সেই অগ্নিগর্ভ সময় শিশু অবস্থায়ই উদীচী তার দায়িত্ব এবং পথ ঠিক করে নেয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় উদীচীর শিল্পীসংগ্রামীরা ভূমিকা রেখেছেন।

প্রমা আবৃত্তি সংগঠনের সভাপতি রাশেদ হাসান বলেন, বাংলাদেশের যেকোনো গণআন্দোলনের সব ক্ষেত্রেই সাংস্কৃতিক সংগঠন হিসেবে উদীচী অগ্রভাগে ছিল।

উদীচী চট্টগ্রাম জেলা সংসদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শীলা দাশগুপ্তা শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন।

সহসম্পাদক জয় সেনের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন উদীচী বোয়ালখালী শাখার সদস্য মোহাম্মদ আলী ও রাঙ্গুনিয়া শাখার সদস্য তপন দত্ত।

সভার পর চট্টগ্রামের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে উদীচীকে শুভেচ্ছা জানানো হয়।

‘আঁধারবৃন্তে আগুন জ্বালো, আমরা যুদ্ধ আমরা আলো’ স্লোগানে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উদীচীর উদীচীর শিল্পীরা গণসঙ্গীত পরিবেশন করেন। বিরূপ আবহাওয়া উপেক্ষা করে এ সময় বিপুল সংখ্যক মানুষ সভায় উপস্থিত হন।

সারাবাংলা/আরডি/এমআই

উদীচী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর