রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু মধ্য নভেম্বরে
৩০ অক্টোবর ২০১৮ ১৩:৪৩
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের প্রথম দফা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে শুরু হবে।
মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন ‘মেঘনা’য় বাংলাদেশ-মিয়ানমার যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের তৃতীয় বৈঠকের পর দুপুরে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক।
এসময় মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিব মিন্ট থোয়ে বলেন, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও বসবাসের উপযোগী পরিবেশ তৈরি করতে সেখানকার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা ও সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করছে মিয়ানমার সরকার। এ বিষয়টি নিয়ে কর্মশালাও করা হচ্ছে।
এর আগে পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক বলেন, দুই দেশের রাজনৈতিক ইচ্ছা থাকলে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে নিরাপদে ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব। এ বিষয়টি নিয়েই আজকের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা চেয়েছেন যেন রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শান্তিপূর্ণভাবে হয়। সে কারণেই মিয়ানামরের সঙ্গে বারবার আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে এবং আলোচনা করা হচ্ছে।
ব্রিফিংয়ে মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিব বলেন, জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবে। প্রথম ধাপের প্রত্যাবাসন শেষ হলে আলোচনাসাপেক্ষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
রোহিঙ্গা নাগরিকদের তথ্য যাচাই-বাছাই করার সঙ্গে যুক্ত— এমন একাধিক কর্মকর্তা সারাবাংলা’কে জানিয়েছেন, প্রত্যাবাসনের জন্য গত ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা থেকে নেপিডো’কে ৮ হাজার ৩২ জন রোহিঙ্গা নাগরিকের তালিকা দেওয়া হয়। এর মধ্যে ৪ হাজার ৬০০ জন রোহিঙ্গা’র তথ্য যাচাই-বাছাই করে তাদের ফেরত নিতে সম্মতি জানিয়েছে মিয়ানমার। কমবেশি ১৪শ রোহিঙ্গাকে ফেরত নেবে না বলে দেশটি জানায়। বাকি প্রায় দুই হাজার রোহিঙ্গার এখনো যাচাই-বাছাই শেষ করতে পারেনি মিয়ানমর।
এদিকে, কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমার এখন আগের থেকে অনেক বেশি বৈশ্বিক চাপে রয়েছে। এই চাপের মধ্যে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আট হাজার রোহিঙ্গার প্রত্যাবাসনের কথা বলে মিয়ানমারের ওপর চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। প্রকৃতপক্ষে এখনই প্রত্যাবাসন শুরুর কোনো আলামত দেখা যাচ্ছে না। তবে এই চাপ মিয়ানমারকে প্রত্যাবাসনের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরিতে বাধ্য করবে।
আরও পড়ুন-
মঙ্গলবার বৈঠক: সহসা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের সম্ভাবনা নেই
সারাবাংলা/এমএস/টিআর
পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশ-মিয়ানমার জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন