শোকস্তব্ধ ইন্দোনেশিয়া, চলছে বিমানের ধ্বংসাবশেষের খোঁজ
৩০ অক্টোবর ২০১৮ ১৪:৫৯
।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।
দুর্ঘটনার প্রায় ৩০ ঘণ্টা পরও ইন্দোনেশিয়ায় বিধ্বস্ত লায়ন এয়ারওয়েজের বিমানটির খোঁজ চলছে। যাত্রীদের কেউ বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন দেশটির অনুসন্ধান ও উদ্ধার সংস্থার অতিরিক্ত পরিচালক বামবাং সুর্য। ইতোমধ্যে সমুদ্রে পাওয়া দেহাবশেষগুলো বিশেষ ২১ টি ব্যাগে রাখা হয়েছে। সেগুলো শনাক্ত করতে জাকার্তায় নিয়ে যাওয়া হবে।
বিমানের মূল অংশ উদ্ধার করতে ইন্দোনেশিয়ার উদ্ধারকারী দল ড্রোন ও সোনার ডিভাইস ব্যবহার করছেন। ব্ল্যাকবক্স উদ্ধার করা না গেলে ককপিটে কি ঘটেছিলো তা বিস্তারিত জানা যাবে না। এদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুর্ঘটনায় মৃত কারো কারো পরিচয় প্রকাশ পেয়েছে। নিহতদের স্বজনেরা সান্ত্বনার ভাষা খুঁজে পাচ্ছেন না।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় বিমান দুর্ঘটনা, বেঁচে নেই ১৮৯ যাত্রীর কেউ
জাকার্তার হালিম পেডানাকুসুমা বিমানবন্দরে মুর্তাদো কুর্নিয়না জানান, তিনি এখনও তার ভালোবাসার মানুষের খোঁজে অপেক্ষা করছেন। তিনি নতুন বিয়ে করেছেন। তার নববধূ বিমানটির যাত্রী ছিলো।
কুর্নিয়না বলেন, টিভিতে বিমান দুর্ঘটনার খবর শুনে আমার শরীর অবশ হয়ে যায়।
দুর্ঘটনা কবলিত বিমানটিতে অন্যান্য যাত্রীদের মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অন্তত ২০ জন কর্মকর্তাও ছিলেন। ছুটি কাটিয়ে তারা জাকার্তা থেকে ফিরছিলেন। দেশটির অর্থমন্ত্রী শ্রী মুলায়নি নিখোঁজ কর্মকর্তাদের পরিবারকে সান্ত্বনা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত, বহু হতাহতের আশঙ্কা
সোমবার(২৯ অক্টোবর) দুইজন পাইলট ও ছয়জন কেবিনক্রুসহ ১৮৮ জন যাত্রী নিয়ে লায়ন এয়ার ওয়েজের বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স-৮ মডেলের বিমানটি জাভা সাগরে বিধ্বস্ত হয়। বিমানটি সকাল ৬ টা ২০ মিনিটে জাকার্তা থেকে দেশটির বাংকা বেলিটাং দ্বীপের শহর প্যাংকাল-পিনাং এর উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিলো। কিন্তু উড্ডয়নের ১৩ মিনিট পরই এটি নিয়ন্ত্রণ হারায়।
এদিকে, বিধ্বস্ত লায়ন এয়ারওয়েজের পাইলট একজন ভারতীয় ছিলেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। ভাব্যে সুনেজা (৩১) নামে বিমানের ওই পাইলটের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে ইন্দোনেশিয়ার ভারতীয় দূতাবাস। নিহত পাইলটের লিংকডইন প্রোফাইল থেকে জানা যায় সুনেজা ২০১১ সালে লায়ন এয়ারে পাইলট হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। তার প্রায় ৬ হাজার ঘণ্টা আকাশে উড্ডয়নের অভিজ্ঞতা রয়েছে। এছাড়া, তার সাথের কো-পাইলট হার্ভিনোর ৫ হাজার ঘণ্টা বিমান চালানোর অভিজ্ঞতা ছিলো।
বিমান বিধ্বস্ত হবার পিছনে কারিগরি ক্রুটির কথা অস্বীকার করেছে লায়ন এয়ারওয়েজ। বিমান সংস্থাটির কর্মকর্তারা বলছেন, বিমান উড্ডয়নের পূর্বে বিমানটিতে কিছু কারিগরি ক্রুটি থাকলেও রুটিন মাফিক কাজ হিসেবে তা ঠিক করা হয়।
সারাবাংলা/এনএইচ