দীপন হত্যা মামলায় ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র
৩০ অক্টোবর ২০১৮ ১৪:৪৭
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা : জাগৃতি প্রকাশনীর মালিক ফয়সল আরেফীন দীপন হত্যা মামলায় আটজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র তৈরি করা হয়েছে। এই অভিযোগপত্র আদালতে জমা দিতে অনুমোদনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে এক অনানুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মেট্রোপলিপন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ও কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলন থেকে জানানো হয়, মোট আটজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র তৈরি করা হয়েছে। আট আসামির মধ্যে ছয়জন গ্রেফতার হলেও বাকি দুজন পলাতক রয়েছে।
২০১৫ সালের ৩১ নভেম্বর শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটের নিজ অফিসে দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ওই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রাজিয়া রহমান রমনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এই মামলার আসামিরা হলেন-মইনুল হাসান শামীম (২৪) সাংগঠনিক নাম সিফাত ওরফে সামির ওরফে ইমরান, মো. আ. সবুর (২৩) সাংগঠনিক নাম আ. সামাদ ওরফে সুজন ওরফে রাজু ওরফে সাদ, খাইরুল ইসলাম (২৪) সাংগঠনিক নাম জামিল ওরফে রিফাত ওরফে ফাহিম ওরফে জিসান, মো. আবু সিদ্দিক সোহেল (৩৪) সাংগঠনিক নাম সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, মো. মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন (২৫) সাংগঠনিক নাম শাহরিয়ার, মো. শেখ আব্দুল্লাহ (২৭) সাংগঠনিক নাম জুবায়ের ওরফে জায়েদ ওরফে জাবেদ ওরফে আবু ওমায়ের, সৈয়দ জিয়াউল হক (৫০) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত মেজর বলে কথিত, তার সাংগঠনিক নাম সাগর ওরফে ইশতিয়াক ওরফে বড় ভাই এবং আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব (২৮) সাংগঠনিক নাম আবির ওরফে আদনান ওরফে আব্দুল্লাহ।
সংবাদ সম্মেলনে মনিরুল ইসলাম জানান, প্রকাশক দীপন হত্যার মূলপরিকল্পনাকারী ও নির্দেশদাতা সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত মেজর বলে কথিত সৈয়দ জিয়াউল হক। আটজনের মধ্যে ছয়জনকে বিভিন্ন সময় গ্রেফতার করা হয়েছে। পলাতক ২ জন হচ্ছেন সৈয়দ জিয়াউল হক ও আকরাম হোসেন। তাদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এই মামলার তদন্ত দীর্ঘ সময় ধরে চলার কারণ জানতে চাইলে মনিরুল ইসলাম বলেন, ২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর রাজধানীর আজিজ সুপার মার্কেটে নিজ প্রকাশনীতে সন্ত্রাসীরা হত্যা করে প্রকাশক ফয়সাল আরেফীন দীপনকে। মামলাটি রুজু হয়েছিল অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে। মামলাটি ছিল ক্লুলেস। আমরা বিভিন্ন সূত্রধরে ক্লুলেস মামলাটি তদন্তকালে জানতে পারি দীপনের প্রকাশনী থেকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত আনে এমন বই প্রকাশ করাই এই হত্যার কারণ। তদন্তের এক পর্যায়ে আমরা এই হত্যার পেছনে জড়িত ৯ জনকে সনাক্ত করি। তার মধ্যে একজনের পরিচয় জানা যায়নি। আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে গ্রেফতারকৃত আসামিদের দেয়া তথ্যমতে প্রত্যেককে বিভিন্ন জায়গা থেকে গ্রেফতার করে এই ক্লুলেস মামলার তদন্ত শেষ করেছি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের অনুমোদনের বিষয়ে সিটিটিসি প্রধান বলেন, মামলাটি সন্ত্রাস বিরোধী আইনের অপরাধ হওয়ায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিলের আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হয়। আমরা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। অনুমোদন মিললেই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে।
সারাবাংলা/ইউজে/এসএমএন