জামিনের ২০ দিন পর মুক্তি পেলেন চবি শিক্ষক মাইদুল
৩০ অক্টোবর ২০১৮ ১৬:০৪
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
চট্টগ্রাম ব্যুরো : ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটূক্তির অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় একমাস ছয়দিন কারাভোগের পর জামিনে মুক্ত হলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষক মাইদুল ইসলাম। যদিও আরো ২০ দিন আগেই হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ তাকে জামিন দিয়েছিলেন।
সোমবার (২৯ অক্টোবর) রাতে হাইকোর্টের জামিন আদেশটি চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছে। যাচাই-বাছাই শেষে মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) সকালে মাইদুল ইসলামকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে সারাবাংলাকে জানিয়েছেন সিনিয়র জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক।
গত ৯ অক্টোবর বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ থেকে ছয় মাসের জামিন পান মাইদুল ইসলাম। এর ২০ দিন পর হাইকোর্টের জামিন আদেশ চট্টগ্রাম কারাগারে এসে পৌঁছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ফেসবুকে কটুক্তির অভিযোগে গত ২৩ জুলাই চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা হয়।
কোটা সংস্কারের আন্দোলনকারীদের পক্ষে অবস্থান নেওয়া এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ (২) ধারায় বিরুদ্ধে মামলাটি করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সদস্য ইফতেখারুল ইসলাম। মামলা দায়েরের পর হাইকোর্ট থেকে আট সপ্তাহের জামিন নেন মাইদুল।
ওই জামিনের মেয়াদ শেষে ২৪ সেপ্টেম্বর মাইদুল চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ মো.ইসমাইল হোসেনের আদালতে আত্মসর্পণ করেন। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
কারাগারে যাবার পর গত ২৫ সেপ্টেম্বর এই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এদিকে পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত মাইদুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তবে হাইকোর্টের জামিন আদেশের পর রিমান্ড স্থগিত হয়।
থানায় মামলা দায়েরের আগে মাইদুল ইসলামসহ দুজন শিক্ষককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছিল ছাত্রলীগ। হুমকির মুখে দুই শিক্ষক ক্যাম্পাসে যাওয়া বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছিলেন। এমনকি মাইদুল ইসলাম চবি ক্যাম্পাসের বাসাও ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন।
এর আগে গত ১৭ জুলাই সমাজতত্ত্ব বিভাগের মাইদুল ইসলাম এবং যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক খ. আলী আর রাজীকে চাকরিচ্যুত করার দাবি জানিয়ে উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিয়েছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি আলমগীর টিপু।
শিক্ষক মাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার বাদি ইফতেখারুল ইসলাম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী। তিনি আলমগীর টিপুর অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।
সারাবাংলা/আরডি/এসএমএন