‘স্যার ছেড়ে দেন এ ভুল আর হবে না’
৩০ অক্টোবর ২০১৮ ২২:২৭
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: ‘স্যার আমারে ছেড়ে দেন, এ ভুল আর হবে না। আমার জীবনটা নষ্ট হয়ে যাবে স্যার। আমাকে জেলে পাঠাবেন না। আমি মাফ চাচ্ছি স্যার। হাতজোড় করছি স্যার। বিপদে ঠেলে দেবেন না। সামনে আমার পরীক্ষা স্যার।’
মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ভ্রাম্যমাণ আদালতের হাতে আটক ঢাকা কলেজের অনার্স পড়ুয়া আবিদ নামে এক শিক্ষার্থী এভাবেই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের কাছে অনুনয়-বিনয় করছিলেন।
তবে অনুনয়-বিনয়ে কাজ হয়নি। ভ্রাম্যমাণ আদালত দণ্ড দেওয়ায় তাকে যেতে হয়েছে কারাগারে।
ঢাকা কলেজের আবিদের মতো সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী আলম সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এসেছিলেন বন্ধু আওলাদের সঙ্গে।
আলম বলেন, ‘বড় ভুল হয়ে গেছে। আর এ রকম হবে না।’
শেরেবাংলা কৃষি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এমদাদুল হক। তিনি বেড়াতে এসেছিলেন। লালবাগ থেকে এক বন্ধু ফোন করে বলেন, ‘উদ্যানের ভেতরেই থাক, আমি আসছি।’
তিনি এলে একসঙ্গে গাজা সেবন করছিলেন। এমন সময় সাদা পোশাকে র্যাব সদস্যরা তাদের ধরে ফেলেন। তারাও জানান, অনেক বড় ভুল হয়ে গেছে। এখানে আসা ঠিক হয়নি।
মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় ৫২ জন মাদকসেবীকে আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম সারাবাংলাকে বলেন, ‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এর আগের অভিযানে মাদকসেবী ও মাদক বিক্রেতা উভয়কেই আটক করা হয়েছিল। কিন্তু এবারের অভিযানে যারা আটক হয়েছে তাদের বেশিরভাগই রাজধানীর বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। এরা সবাই মাদকসেবী। এদের প্রত্যেককে ৬ থেকে ৯ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এই মাদকসেবীরাই নেশার জন্য উদ্যানের ভেতরেই ছিনতাই কাজে জড়িত থাকে। বেড়াতে আসা বিভিন্ন দর্শনার্থীকে হেনস্থার ঘটনাও ঘটেছে। কাজেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে মাদকমুক্ত রাখতে এ রকম অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
সারাবাংলা/ইউজে/একে