সংলাপ হবে, তবে নির্বাচন শেখ হাসিনার অধীনে: নাসিম
৩১ অক্টোবর ২০১৮ ১৯:৪৯
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের মুখপাত্র, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, সংলাপ হবে। তবে একটা কথা মনে রাখতে হবে নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী; শেখ হাসিনার অধীনে। সুতরাং সংলাপে গিয়ে সংবিধানের বাইরে আলোচনা করে কোনো লাভ নেই।
বুধবার (৩১ অক্টোবর) বিকালে রাজধানীর টিএনটি কলোনি মাঠে চৌদ্দ দল আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সভাপতি, শেখ হাসিনার দ্বার উন্মুক্ত। সব দলের সঙ্গেই সংবিধানের আলোকে সংলাপ করবেন তিনি। তবে সংবিধানের বাইরে আলোচনা করলে ১৪ দল তথা বাংলার মানুষ তা মেনে নেবে না। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ডিসেম্বরে দেশের প্রতিটি জেলায়-উপজেলায় বিজয় মঞ্চ করবে ১৪ চৌদ্দ দল। নির্বাচনে বিজয় নিশ্চিত করে স্মরণকালে সবচাইতে বৃহত্তর কলেবরে বিজয় উৎসব উদযাপন করা হবে।’
ড. কামাল হোসেনের উদ্দেশে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘কামাল সাহেব আপনি গুণী লোক। বঙ্গবন্ধু আপনাকে কামাল হোসেন বানিয়েছিলেন। বিনা ভোটে এমপি বানিয়েছিলেন, মন্ত্রী বানিয়েছিলেন। আর সেই আপনি আজ খুনিদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। আপনার জন্য সত্যি লজ্জা হয়।’
ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন সম্পর্কে নাসিম বলেন, ‘ মইনুল ১৫ আগস্টের পর মোস্তাকের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন। ১/১১-এর সময় যে লোকটি আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন তিনিও ব্যারিস্টার মইনুল। শেখ হাসিনা আইনি প্রক্রিয়ায় নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করেছেন। কিন্তু বিএনপির নেত্রী মইনুলের করা মামলায় আজ জেলে। সেই মইনুলকে নিয়েই বিএনপি জোট করেছে। সুতরাং তাদের ভবিষ্যৎ কী হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।’
বিএনপির উদ্দেশে নাসিম বলেন, ‘এইবার বিএনপি নির্বাচনে না এলে বাটি চালান দিয়েও বিএনপিকে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। খেলা হবে নির্বাচনের মাঠে। বিশ্বকাপে মেসি গোল মিস করেছে, নেইমার গোল মিস করছে, কিন্তু নির্বাচনি খেলায় শেখ হাসিনা গোল মিস করবেন না।’
সভাপতির বক্তব্যে চৌদ্দ দলীয় জোটের শরীক দল বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের নেতারা বলছেন, ৭ দফা মেনে না নিলে ক্ষমতাসীনদের এমন শাস্তি দেবে যা আওয়ামী লীগ ভাবতেও পারে না। আমি বলি, শেখ হাসিনাকে আর কী শাস্তি দিবেন? ১৫ আগস্ট তো তার পিতাকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন। ২১ আগস্ট হামলা করে শেখ হাসিনা সহ আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে চেয়েছিলেন। আর কী করতে চান? শেখ হাসিনাকে ভয় দেখিয়ে কোনো লাভ নেই। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলার মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ। তার কিংবা তার দলের নেতাদের কিছু হলে বাংলার মানুষ আপনাদের ক্ষমা করবে না। বরং আপনারা প্রস্তুত থাকুন নির্বাচনের পরে জনগণের ভয়ে আপনাদের দেশ ছেড়ে পালিয়ে বেড়াতে হবে।’
সভায় অন্যদের মধ্যে ছিলেন- সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, গণ আজাদী লীগের সভাপতি এস কে শিকদার, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাৎ হোসেনসহ প্রমুখ।
সারাবাংলা/এমএমএইচ/এমও