Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

থাকছে ইভিএম, রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারি


৩১ অক্টোবর ২০১৮ ২১:২৯

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।

ঢাকা: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের বিধান সংক্রান্ত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনে অধ্যাদেশ জারি করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

বুধবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি আরপিও সংশোধন সংক্রান্ত অধ্যাদেশে স্বাক্ষর করেছেন।

রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন সারাবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘আজ (বুধবার) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি আরপিও সংশোধন সংক্রান্ত অধ্যাদেশটিতে স্বাক্ষর করেছেন। এখন এটি গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে।’

ইসি সূত্র জানায়, বিএনপিসহ বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল এবং একজন নির্বাচন কমিশনারের আপত্তির মুখেই গত ৩০ আগস্ট নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কমিশন সভায় আরপিওতে সংশোধনী আনা হয়। সংশোধিত আরপিওতে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের পাশাপাশি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যাতে ইভিএম ব্যবহার করা যায় সেই ধারাটি সংযোজন করা হয়। আরপিও সংশোধনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করার সুযোগ থাকলেও সংসদ নির্বাচনের ক্ষেত্রে এই সুযোগ ছিল না। ইসির কমিশন সভায় আরপিও সংশোধন করায় এখন স্থানীয় সরকার নির্বাচনের পাশাপাশি জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও ইভিএম ব্যবহার করা যাবে।

ইসি সূত্র জানায়, সংশোধিত আরপিওটি গত ৩ সেপ্টেম্বর ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। আইন মন্ত্রণায়ে ভেটিংয়ের পর গত ২৯ অক্টোবর এটি মন্ত্রীসভায় অনুমোদন দেওয়া হয়। কিন্তু এটি আইনে পরিণত করতে সংসদে পাস হওয়ার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু সোমবার সংসদ অধিবেশন শেষ হয়ে যাওয়ায় আজ (৩১ অক্টোবর) রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে এটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই অধ্যাদেশ জারি হওয়ায় আগামী নির্বাচনে ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করার আইনি সকল সুযোগ তৈরি হলো।

বিজ্ঞাপন

এছাড়া সংশোধনী আরপিও‘তে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা, মনোনয়নপত্র দাখিলের দিন পযন্ত ঋণ পুনঃতফসিল করার সুযোগ, ১২ ডিজিটের টিআইএন সনদ দাখিলের বিধান রাখা রয়েছে। এছাড়াও সংশোধিত আরপিও‘তে জীবন্ত কোন পশুপাখি নিয়ে যাতে নির্বাচনী প্রচারণা চালানো না হয় সেটিও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

এদিকে গত ১৮ সেপ্টেম্বর ৩ হাজার ৮২৫ কোটি টাকার প্রকল্পের মাধ্যমে দেড় লাখ ইভিএম কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।

২০১০ সাল থেকে শামসুল হুদা কমিশন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নির্দিষ্ট কিছু কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহারের প্রচলন শুরু করে। পরবর্তীতে ইভিএম নিয়ে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বরিশাল, রাজশাহী ও সিলেট সিটিতে সীমিত পরিসরে ইভিএম ব্যবহার করে নির্বাচন কমিশন।

কিন্তু বিভিন্ন সময়ে ইভিএম ব্যবহারে সমস্যা দেখা দেয়ায় রকিম কমিশন সব ইভিএম ধ্বংস করে দেয়। বর্তমান নির্বাচন কমিশন নতুনর করে আবারো ইভিএম ব্যবহারের জন্য আরপিওতে সংশোধন আনেন।

সারাবাংলা/জিএস/একে

ইভিএম একাদশ নির্বাচন জাতীয়-নির্বাচন নির্বাচন কমিশন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর