মোহাম্মদপুরে লাইসেন্সবিহীন ২ হাসপাতাল বন্ধই থাকছে
১ নভেম্বর ২০১৮ ১২:১২
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: রাজধানীর মোহাম্মদপুরের নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা মেন্টাল অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডিকশন হসপিটাল ও শেফা হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। ফলে এ দু’টি হাসপাতাল বন্ধই থাকছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চ দুই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আবেদন খারিজ করে দেন।
আদালতে দুই হাসপাতালের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
এর আগে, গত ১২ সেপ্টেম্বর অনুমোদন না থাকায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ১৪টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার দ্রুত বন্ধের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি আহমেদ সোহেল এ নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল ও ক্লিনিক পরিচালনাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং পরিচালনাকারীদের বিরুদ্ধে কেন আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।
হাইকোর্টের এই আদেশের বিরুদ্ধে ১৪ ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টারের মধ্যে আপিল বিভাগে আবেদন করে নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা মেন্টাল অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডিকশন হসপিটাল ও শেফা হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষ। আজ (বৃহস্পতিবার) ওই অবেদনের শুনানি শেষে আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, গত এপ্রিল মাসে ‘৫০০ মিটারে ২৬টি, ১৪টিই অবৈধ হাসপাতাল’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে হাইকোর্টের রিট দায়ের করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
আরও পড়ুন-
মোহাম্মদপুরের ১৪ ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের নির্দেশ
সারাবাংলা/এজেডকে/টিআর