সরকারকে সংলাপে বসতে বাধ্য করেছি: বি. চৌধুরী
১ নভেম্বর ২০১৮ ১৮:৫৪
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্পধারার সভাপতি ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, আমরা সরকারকে সংলাপে বসতে বাধ্য করেছি। এতে জনগণের বিজয় হয়েছে। দেশ ও মানুষের স্বার্থেই আমরা সংলাপে যাবো। সেখানে মানুষের ভোটের অধিকার নিয়ে কথা বলব। নিশ্চয় বিজয় আসবে।
বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে যুক্তফ্রন্ট আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্র্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
যুক্তফ্রন্টের সভাপতি বলেন, ‘আমরা বারবার বলে এসেছিলাম সংলাপ করতে হবে। কারণ সংলাপ ছাড়া ভালো কোনো কিছু সম্ভব নয়। সুষ্ঠু ভোট তো অনেক পরের কথা। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিবারই বলা হয়েছিল, কোনো সংলাপ হবে না। শেষ পর্যন্ত তারা সংলাপে বসতে বাধ্য হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সংলাপের জন্য ডেকেছেন। আমরা সংলাপে জাতির স্বার্থে অংশ নেবো। এতে জনগণের বিজয় অর্জিত হয়েছে। সংলাপ যাতে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য হয় সেজন্য চেষ্টা করা হবে।’
সরকারের উদ্দেশ্যে সাবেক রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘কি উন্নয়ন করেছেন তা জনগণ জানে, ভোটও দেবে জনগণ। জনগণ এও জানে যে, উন্নয়নের নামে অর্ধেক চুরি করেছেন আপনারা। চুরি না করলে ডাবল উন্নয়ন হতো। আমরা ক্ষমতায় গেলে চুরি বন্ধ করব। তখন ডাবল উন্নয়ন হবে। গণতন্ত্রের গলায় আপনারা শেকল পড়িয়েছেন। মানুষের জন্য গণতন্ত্র আর গণতন্ত্রের জন্যই সংবিধান। কাজেই সংবিধান পরিবর্তন করা অন্যায় নয়।
তিনি দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা শ্রদ্ধার রাজনীতি করতে চাই। দেশে অনেক অশ্রদ্ধার রাজনীতি হয়েছে, আর নয়। বঙ্গবন্ধু, মাওলানা ভাসানী, এ কে ফজলুল হক, জিয়াউর রহমানসহ যত গুণী ব্যক্তি আছে সবাইকে শ্রদ্ধার সঙ্গে রাখতে চাই। যে মাটিতে মিশে আছে মা-বাবা ভাই বোনসহ কতশত মানুষের রক্ত। যারা এই দেশের রক্তাক্ত মাটিকে চুমু দিতে পারে না, তাদের সঙ্গে আমরা থাকব না। এতে অন্যায় হলে হবে।’
আগামী নির্বাচন নিয়ে বিকল্পধারা ও যুক্তফ্রন্টের সভাপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, ‘মানুষের ভোট রক্ষায়, জনগণ যাতে ভোট দিতে পারে সেজন্য নির্বাচনে সামরিক বাহিনী দিতে হবে এবং ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিতে হবে। নির্বাচনে যাতে কোনো সহিংসতা না হয় সেজন্য ভোটের আগে ও পরে সেনাবাহিনী মোতায়েন রাখতে হবে।’
এর আগে, বৃহস্পতিবার বিকেলে ৮টি দল বিকল্পধারার নেতৃত্বে যুক্তফ্রন্টে যোগদান করে। যুক্তফ্রন্টে যোগ দেওয়া দলগুলো হলো- সাবেক মন্ত্রী নাজিম উদ্দিন আজাদের বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (বিএলডিপি), সাবেক সংসদ সদস্য এইচ এম গোলাম রেজার জাতীয় পার্টি (জাফর), খন্দকার গোলাম মর্তুজার এলডিপি, মাহবুবুর রহমান জয়ের বাংলাদেশ জনদল, ২০ দল থেকে বেরিয়ে আসা হামিদুল্লাহ আল মেহেদির বাংলাদেশ লেবার পার্টি ও জেবেল রহমান গানির বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (বাংলাদেশ ন্যাপ), দীলিপ কুমার দাসের বাংলাদেশ মাইনরিটি ইউনাইটেড ফ্রন্ট ও কামাল পাশার গণফ্রন্ট।। একই সঙ্গে কিছু ব্যক্তিও বিকল্পধারায় যোগ দেন।
সারাবাংলা/ইউজে/এমও