সরকারি চাকরির বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে ফের কর্মসূচি
১ নভেম্বর ২০১৮ ১৯:০৪
।। ঢাবি করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাবি: সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ করার দাবিতে ফের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আন্দোলনকারীরা। বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির (ডুজা) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে তারা এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
এই দাবিতে তারা আগামীকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ এবং শনিবার সকাল ১০টায় শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দেন। এসময় তারা চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির পক্ষে অনেকগুলো যুক্তি তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘উন্নত বিশ্ব তাদের জনগণকে জনশক্তিতে রুপান্তরের ক্ষেত্রে বয়সের কোনো সীমারেখা নির্দিষ্ট করে রাখেনি। পার্শ্ববর্তী দেশসহ উন্নত দেশে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা আমাদের দেশের তুলনায় অনেক বেশি। কোনো কোনো দেশে অবসরের আগের দিন পর্যন্ত চাকরিতে প্রবেশের সুযোগ রাখা হয়। সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর সঙ্গে সরকারের কোনো আর্থিক সংশ্লিষ্ট নেই। কিন্তু সিদ্ধান্তটি হবে জনমুখী। ফলে, উপকৃত হবে লক্ষ লক্ষ শিক্ষিত তরুণ-তরুণী ও তাদের পরিবার।’
তারা চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ থেকে ৩৫ করার যে যুক্তিগুলো তুলে ধরেন সেগুলোর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্যগেুলো হলো এসএসসি, এইচএসসি, অনার্স এবং ডিগ্রি ও মাস্টার্সের রেজাল্ট বের হওয়ার মধ্যবর্তী সময় নষ্ট হয় সব মিলিয়ে প্রায় দুই বছর, প্রচলিত নিয়মানুসারে ২৩ বছর বয়সে শিক্ষা জীবন শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সমীকরণটি শুধু কাগজ-কলমের মধ্যেই সীমাবদ্ধ, যথাসময়ে লেখাপড়া শেষ করতে না পারার অন্যতম কারণ দুই থেকে তিন বছরের সেশনজট, রাজনৈতিক অস্থিরতার জন্য প্রতিটি ছাত্রের জীবন থেকে সময় নষ্ট হচ্ছে তার ক্ষতিপূরণ করতে ইত্যাদি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ছাত্র পরিষদের সভাপতি মো. আল আমিন রাজু, সিনিয়র সহ-সভাপতি ইউছুফ ইলিয়াস, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোবারক ফাতেমা মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক শেহজাদ আমান প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিত প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ বছর করার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ। গত শনিবারও তারা রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে, পরে পুলিশি বাধায় তাদের সে কর্মসূচি পণ্ড হয়ে যায়।
সারাবাংলা/কেকে/এমও