প্রলম্বিত হচ্ছে সংলাপ, ডিনার সম্পন্ন
১ নভেম্বর ২০১৮ ২১:৩১
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: গণভবনের ব্যাঙ্কুয়েট হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহাজোট ও ১৪ দলের নেতাদের সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের সংলাপ চলছে। বলে গণভবন সূত্রে জানা গেছে অবস্থাদৃষ্টে সংলাপ প্রলম্বিত সময় ধরেই চলবে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হওয়া সংলাপ রাত সোয়া ৯টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চলছিল। সংলাপে ড. কামালের নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্টের ২০ জন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৪ দলীয় জোটের ২৩ নেতা অংশ নিয়েছেন।
গণভবন সূত্র বলছে, সংলাপে অংশ নেওয়া উভয়পক্ষের নেতারা তাদের রাজনৈতিক অবস্থান তুলে ধরে দুই মিনিট করে বক্তব্য রাখার সিদ্ধান্ত হয়। সে অনুযায়ী বক্তব্য এগুলে সবমিলিয়ে রাত সাড়ে ৯টার মধ্যে সংলাপের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার কথা । তবে সূত্র মতে, কারো কারো বক্তব্য নির্ধারিত সময়ের চেয়েও বেশি সময় ধরে হচ্ছে। এতে সংলাপ শেষ হতে রাত ১১টা ছাড়িয়ে যেতে পারে।
এদিকে সংলাপে আমন্ত্রিতদের জন্য রাতের খাবার পরিবেশন করা হয়েছে। ১৭ পদের খাবারে দুই পক্ষের নেতাদের আপ্যায়ণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
খাবারের তালিকায় অ্যাপেটাইজার হিসেবে ছিলো ফ্রেশ জুস (মাল্টা, আনারস, জলপাই ও তরমুজ) ও সুইট অ্যান্ড সাওয়ার কর্ন স্যুপ (চিংড়ি বাদ)। এর সঙ্গে থাকছে মিক্সড নুডুলস (চিংড়ি বাদ), মিক্সড সবজি, বিফ শিক কাবাব, চিকেন ইরানি কাবাব।
মূল খাবারে ছিলো মোরগ পোলাও, বাটার নান আর সাদা ভাত। তার সঙ্গে কারি হিসেবে থাকছে মাটন রেজালা, চিতল মাছের কোপ্তা কারি ও রুই মাছের দোপেঁয়াজা। সঙ্গে মিক্সড সালাদ।
আর শেষ পাতে ডেজার্ট হিসেবে টক-মিষ্টি দুই ধরনের দই আর চিজ কেক। আগে থেকেই জানা যাচ্ছিলো চিজ কেক ড. কামাল হোসেনের পছন্দ। আর সেটা মাথায় রেখেই এই খাবারটি মেন্যুতে সংযুক্ত করা হয়।
পানীয় হিসেবে ছিলো কোক ক্যান ও চা বা কফি।
গণভবনের ভেতরকার সূত্র জানায়, ডিনার শেষে আবারও সংলাপে বসেন নেতারা।
গত ২৮ অক্টোবর জাতীয় ঐক্যপ্রক্রিয়ার পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগকে সংলাপের আহ্বান জানিয়ে চিঠি দিলে সংলাপ প্রক্রিয়া শুরু হয়। এর পরদিনই আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানান, আওয়ামী লীগ সংলাপে রাজি। পরে ৩০ অক্টোবর সকালে প্রধানমন্ত্রীর চিঠি পৌঁছে দেওয়া হয় ঐক্যফ্রন্টের কাছে। তাতে বলা হয়, ১ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় গণভবনে অনুষ্ঠিত হবে সংলাপ।
এরপরই মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের প্রতিনিধি দলের কথা জানানো হয় আওয়ামী লীগকে।
পরে ক্ষমতাসীন দলটি জানায়, সংলাপে তাদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীসহ ২৩ জন উপস্থিত থাকবেন। পরে বৃহস্পতিবার সংলাপের মাত্র আড়াই ঘণ্টা আগে ঐক্যফ্রন্ট জানায়, তাদের আরও পাঁচ জন নেতা থাকবেন এই বৈঠকে। যদিও শেষ পর্যন্ত তাদের মধ্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় উপস্থিত হতে পারেননি।
সারাবাংলা/একে