শ্রীলংকার রাজনৈতিক সংকট ঘনীভূত হচ্ছে
২ নভেম্বর ২০১৮ ১৬:১০
।।আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।
শ্রীলংকার বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট সমাধানে ক্ষণিক আভাস মিললেও তা বাস্তবে রুপ পায়নি। পাঁচদিনের অচলবস্থার পর আকস্মিক ঘোষণায় পার্লামেন্ট পুনরায় খুলে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা। পার্লামেন্ট সদস্যরা ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করবেন এমনটাই ভাবনা ছিলো সবার।
কিন্তু সিরসেনার দলের আইনপ্রণেতা মাহিন্দানন্দা অলুয়হগাওগা শুক্রবার (২ নভেম্বর) জানান, প্রধানমন্ত্রী নির্ধারণে নতুন করে পার্লামেন্টে কোন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে না।
উল্লেখ্য, গত ২৬ অক্টোবর প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা আচমকাই রনিল বিক্রমসিংহকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে বরখাস্ত করেন। তার পরিবর্তে রাজাপাকসাকে নিয়োগ দেন। রাজাপাকসার বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন, দুর্নীতিসহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার রাস্তায় নেমে আসেন কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী।
সমালোচকরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী বিক্রমসিংহের অভিশংসন হচ্ছে শ্রীলংকায় ১৯৩১ সালে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর প্রথম অবৈধ উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তরের ঘটনা। সংবিধানের ২০১৫ সালের সংশোধনী উল্লেখ করে কেউ কেউ মন্তব্য করছেন, প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত করার ক্ষমতা প্রেসিডেন্টের হাতে দেওয়া নেই।
এদিকে, বরখাস্ত হওয়ার পর থেকেই আইনসভায় নিজের সংখ্যাগরিষ্ঠতার দাবি করে আসছেন বিক্রমসিংহ। আর এই সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য অনবরতভাবে পার্লামেন্টে ভোটের আয়োজন করার আহ্বান জানিয়ে আসছেন তিনি। গতকাল পার্লামেন্ট সচলের খবরের পর তিনি টুইটার বলেন, জনগণের ডাকে সাড়া মিলেছে। গণতন্ত্র জয়ী হবেই।
তবে নতুন এই ঘোষণার পর শ্রীলংকার রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও জটিল হলো।
সারাবাংলা/ আরএ/এনএইচ
আরও পড়ুন: পার্লামেন্টের ওপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করলেন সিরিসেনা
মাইথ্রিপালা সিরিসেনা মাহিন্দা রাজাপাকসাকে রনিল বিক্রমসিংহ রাজনৈতিক অচলাবস্থা