সন্দ্বীপে বস্তাভর্তি অস্ত্রসহ ‘যুবলীগ নেতা’ আটক
২ নভেম্বর ২০১৮ ২০:৪৬
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
চট্টগ্রাম ব্যুরো: অবৈধ অস্ত্র রাখার অভিযোগে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলা থেকে ইউপি সদস্য জাহিদ সরওয়ার শিমুলকে (৩০) আটক করেছে পুলিশ। আটকের পর শিমুলের ঘরে তল্লাশি চালিয়ে বস্তাভর্তি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহজাহান সারাবাংলাকে জানান, অভিযানে গেলে উভয়পক্ষের মধ্যে শতাধিক গোলাগুলি হয়। এতে একজন পুলিশ পরিদর্শকসহ তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
তিনি আরও জানান, সন্দ্বীপ থানা পুলিশ শুক্রবার (২ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার মগধরা ইউনিয়নে বাড়ি থেকে শিমুলকে আটক করে। পরে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের করে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। শিমুলের বাড়িতে ২টি একনলা বন্দুক, ১টি দোনলা বন্দুক, ১টি চাইনিজ রাইফেলের গুলি ব্যবহার করা যায় এমন এলজি পাওয়া গেছে। এছাড়া এলজি’র ১৯ রাউন্ড কার্তুজ ও একনলা বন্দুকের ২ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। বস্তায় বেশ কিছু রামদা এবং কিরিচ পাওয়া যায়।
এদিকে শিমুলের স্বজনরা দাবি করেছেন, শিমুল যুবলীগের রাজনীতিতে জড়িত। সন্দ্বীপ উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরাই শিমুলকে ফাঁসিয়েছে।
শিমুলের বড় বোন দিলরুবা আক্তার সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমার ভাইকে ফাঁসানো হয়েছে। অটেরিকশায় করে অস্ত্র এনে ঘরের আলমারিতে রাখা হয়। বিছানার নিচে রাখা হয়। তারপর সেগুলো আবার একটা বস্তায় ভরে আমার ভাইয়ের কাছ থেকে উদ্ধারের কথা বলা হচ্ছে। কেউ কি অস্ত্র নিজের ঘরের আলমারি, বিছানার নিচে রাখে- প্রশ্ন রাখে তিনি।
শিমুলের খালাতো ভাই শাহাদাত হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হিসেবে শিমুল জায়গা-জমি নিয়ে একটা বিরোধের সালিশ করেছিল। শিমুল দখলদারদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় এলাকার প্রভাবশালী কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা ক্ষুব্ধ হন। তারাই পুলিশকে দিয়ে শিমুলকে ফাঁসিয়ে দিয়েছেন।
এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ‘শিমুল একজন সন্ত্রাসী। সন্ত্রাসীর কোনো দলীয় পরিচয় নেই। তার বাসা থেকে অস্ত্রসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’
সারাবাংলা/আরডি/এটি