Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

প্রোগামিংয়ে এগিয়েছে বাংলাদেশ, এগুতে হবে আরও


২ নভেম্বর ২০১৮ ২৩:০৫

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়, সকাল থেকেই লোকে লোকারণ্য। এরা কেউই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী না। সবাই স্কুল বড়জোর কলেজে পড়ে কিন্তু সেই জ্ঞান নিয়েই তারা জড়ো হয়েছে এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উঠানে। কারণ তারা সারাদেশ থেকে উঠে এসেছে, কোড ভাঙ্গা জবাব দিয়ে এগিয়ে এসেছে এখানে, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক-প্রথম আলো জাতীয় আন্তঃস্কুল ও কলেজ প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে।

বিজ্ঞাপন

সকাল থেকে এখানে চলেছে প্রতিযোগিতার নানা ধাপ। মাত্র একমাস আগে শুরু হয়েছিল এই প্রতিযোগিতা। বাছাই পর্ব থেকে নির্বাচিত বিজয়ী ১৫০টি দলের ৪৫০ জন খুদে প্রোগ্রামার নিয়ে শুক্রবার (২ নভেম্বর) চূড়ান্ত পর্ব। তবে চূড়ান্ত পর্ব মানে শুধু যে পরীক্ষা—তা নয়। দারুণ উৎসব মুখর পরিবেশ চারদিকে, গান হচ্ছে, নাচ হচ্ছে চলেছে বক্তৃতাও।

সমাপনী পর্বে উপস্থিত হয়েছিলেন আয়োজকরা। বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান, প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জাতীয় অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী এবং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকতা নাসির এজাজ বিজয়।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সফটওয়ার এক্সপোর্ট করে। গ্লোবাল মার্কেটের আকৃতির অনুসারে সেটা এক বিন্দু পানির সমান। এইখানে আমাদের কাজ করতে হবে। এর জন্য আমাদের বিপুল সংখ্যক প্রোগ্রামার তৈরি করতে হবে, কারণ আগামীর পৃথিবীর অনেক কাজ নির্ভর করবে প্রোগ্রামিং জানার ওপরে।

প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান বলেন, আমরা দেখতে চাই বাংলাদেশ সব দিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। এটা শুধু অংক বা প্রযুক্তিতে নয়। এই উন্নয়ন হতে হবে সবক্ষেত্রে।

বিজ্ঞাপন

এ বছরের প্রতিযোগিতায় মেয়েদের উপস্থিতি অনেক কম নিয়েও দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি। উপস্থিত মেয়েদের তিনি অনুরোধ করেন আগামীতে আরও বেশি মেয়েদের নিয়ে এমন প্রতিযোগিতায় আসার।

জাতীয় অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরি নতুন দিনের এই পাঞ্জেরিদের স্বাগত জানান, তিনি বলেন, এই শিশু কিশোরদের বয়সে আমি প্রতিযোগিতা বলতে শুধু খেলাধুলার প্রতিযোগিতার কথাই জানতাম। শিশুদের কম্পিউটারের প্রোগ্রামিং-এর এই দক্ষতা অর্জনকে স্বাগত জানান তিনি।

এ বছরের স্কুল পর্যায়ে আন্তঃস্কুল ও কলেজ প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বিসিআইসি স্কুল এবং কলেজ পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন নটরডেম কলেজ।

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক-প্রথম আলো জাতীয় আন্তঃস্কুল ও কলেজ প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার অন্যতম উদ্যোক্তা মুনির হাসান বলেন, এই প্রতিযোগিতা প্রোগ্রামিং শিক্ষার শেষ নয়। এটা কেবল শুরু মাত্র। প্রোগ্রামিং এর এই শিক্ষার চর্চা ধরে রাখতে হবে প্রতিদিন। তবেই প্রোগ্রামিংয়ে দক্ষতা আসবে।

সারাবাংলা/এমএ/এমআই

প্রোগামিং

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর