খাশোগি হত্যায় সৌদি সরকারকে দায়ী করলেন এরদোয়ান
৩ নভেম্বর ২০১৮ ০৯:২৯
।।আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।
সৌদি লেখক ও কলামিস্ট জামাল খাশোগিকে হত্যার জন্য প্রথমবারের মতো সরাসরি সৌদি সরকারকে দায়ী করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যিপ এরদোয়ান। খবর বিবিসির।
প্রভাবশালী মার্কিন পত্রিকা দ্য ওয়াশিংটন পোস্টে লেখা এক কলামে তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা জানি যে খাশোগিকে হত্যার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সৌদি সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে।’
তবে তুরস্কের সঙ্গে সৌদি আরবের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা টেনে তিনি লিখেন, তার বিশ্বাস বাদশাহ সালমান এ ঘটনায় জড়িত ছিলেন না।
খাশোগি সৌদি আরবের বর্তমান রাষ্ট্রনীতির কট্টর সমালোচক ছিলেন। মোহাম্মদ বিন সালমান ক্রাউন প্রিন্সের দায়িত্ব পাওয়ার পরপরই যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস শুরু করেন তিনি। তার নতুন বিয়ের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে গত ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলের সৌদি দূতাবাসে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই তাকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। আর এর জন্য দায়ী করা হয় সৌদি যুবরাজকে। সৌদির কর্মকর্তারা প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে স্বীকার করে নেন খাশোগিকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ‘হত্যা’ করা হয়। এই ঘটনায় দূতাবাসের দু’’জন সিনিয়র কর্মকর্তাকে বহিষ্কার ও ১৮ জনকে গ্রেফতারের কথা জানিয়েছে সৌদি আরব। তবে ‘হত্যাকাণ্ডে’ যুবরাজ সালমানের জড়িত থাকার বিষয় অস্বীকার করেছে দেশটি।
খাশোগি খুন হওয়ার পর বেশ কয়েক সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও এখনো তার মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া যায়নি। এরদোয়ানের এক সহকারী ইয়াসিন আকতায় জানিয়েছেন, তার বিশ্বাস, হত্যার পর খাশোগির মৃতদেহ খণ্ড-বিখণ্ড করে এসিডে ফেলে দেয়া হয়েছে।
এরদোয়ান তার কলামে লিখেছেন, ‘আমরা জানি যে সৌদি আরবে গ্রেফতার করা ১৮ জনের মধ্যে অপরাধীরা রয়েছে। আমরা এটাও জানি যে, খাশোগিকে হত্যার নির্দেশ এসেছে সৌদি সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে।’
এই হত্যাকাণ্ডে কেবল নিরাপত্তা কর্মকর্তারাই না আরও অনেকে ছিলেন বলে দাবি করেন এরদোয়ান। এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারীর নাম প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সারাবাংলা/আরএ/এসএমএন
আরও পড়ুন: জামাল খাশোগিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে