‘ডা. জাফরুল্লাহ গণস্বাস্থ্যের নৈমত্তিক কাজে সম্পৃক্ত নন’
৩ নভেম্বর ২০১৮ ১৩:২৭
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: ‘গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের নৈমত্তিক কোনো কাজে সম্পৃক্ত নন। তিনি চারজন ট্রাস্টির মাত্র একজন এবং এই পদটি অবৈতনিক।’
রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে হামলা, নারীদের লাঞ্ছনা ও লুটতরাজের প্রতিবাদে শনিবার (৩ নভেম্বর) এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে গণস্বাস্থ্য ট্রাস্টির চেয়ারপারসন অধ্যাপক আলতাফুন্নেসা বলেন, ‘১০ বছর আগেই জাফরুল্লাহ চৌধুরী অবসরে গেছেন। এছাড়া গণস্বাস্থ্য হাসপাতালটি এখন সাভার থেকে ঢাকায় চলে এসেছে।’
সংবাদ সম্মেলনে জাফরুল্লাহ চৌধুরীও উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের হামলা চালানো হয়েছে, আমার নামে একের পর এক মামলা হয়েছে। আমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার।’
জাফরুল্লাহ চৌধুরী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আরো বলেন, ‘হামলার দিন র্যাবের কার্যকলাপ ছিল সন্ত্রাসীদের মত। র্যাব যা করেছে তাতে তাদেরকে সন্ত্রাসী ছাড়া আর কিছু বলা যায় না। আমার দুজন দুর্বল কর্মচারিকে ধরে আটকে রেখে ১০ লাখ টাকা জমা দিতে বলে। আর টাকা জমা না দিলে জেলে পাঠাবে, এমনকি তাদের মরতে হবে বলে হুমকি দেয় র্যাব সদস্যরা।’
তিনি বলেন, ‘আমি ঐক্যফ্রন্টে আছি বলে আমার উপর এই নির্যাতন করা হয়েছে। রাজনীতি করার অধিকারতো আমার আছে। আজ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এসব অব্যাবস্থাপনা জোর-জুলুমের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করছে। এসবের পরিবর্তনের জন্য আমাদের ঐক্যফ্রন্টের আন্দোলন অব্যহত থাকবে।’
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে ডাক্তার জাফরুল্লাহ বলেন, ‘আমার বক্তব্যের কারণে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, প্রতিহিংসার আচরণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে গণস্বাস্থ্য ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য দেলোয়ার হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে হামলা হয়েছে। এজন্য থানায় মামলা করতে গিয়েছি থানা কর্তৃপক্ষ মামলা নেয়নি। তারা বলেছে উপরের নির্দেশ নেই মামলা নেওয়ার। পরে আদলতে ১টি মামলা দায়ের করেছি। আর একটি মামলা করার প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য বলেন, ‘এই হামলা মামলার কারণে আর্ন্তজাতিক মানের যে সম্মেলন ঢাকায় করার কথা রয়েছে তা হবে। এসব কারণে সম্মেলনের কোনো ক্ষতি হবে না।’
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অতীত ইতিহাস তুলে ধরে বলা হয়, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ট্রাস্ট পরিচালিত প্রতিষ্ঠানসমূহের উপর পরিকল্পিত হামলা করা হয়েছে। পরিকল্পিত অভিযান, জেল-জুলুমের ভয় দেখিয়ে নগদে ২৫ লাখ টাকা তথাকথিত জরিমানা হিসেবে আদায় এবং তার সঙ্গে ভূমি প্রতারক মোহাম্মদ আলী, নাসির, সৈয়দ সেলিম আমিনুল ইসলাম ও কাজী রবদের পুলিশের সহায়তায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে আক্রমণ করে। তাদের আক্রমনের ঘটনায় দেশের বিবেকবান মানুষ আজ হতবাক।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/একে/এমও