।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে ডাক্তারের ‘অসতর্কতায়’ দুই কিডনি হারানো সেই মা রওশন আরার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
শনিবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড মৃতদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন।
ময়নাতদন্ত শেষে ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ জানান, মৃতদেহের শরীরে কোনো কিডনি পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও জানান, মৃতদেহের শরীরে কয়েকটি ও মাথায় দুইটি টিউমার পাওয়া গেছে।
রওশনারার ছেলে চিত্রপরিচালক রফিক সিকদারের অভিযোগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করার সময় চিকিৎসক দুই কিডনি ফেলে দেন।
রফিক সিকদার সারাবাংলাকে জানান, বাম পাশের কিডনির জটিলতা নিয়ে তার মাকে গত ২৬ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করানো হয়। তার মূত্রথলির নালিতে পাথর হয়ে ব্লক হয়ে গিয়েছিল। ভর্তি করার পর বেশ কিছু পরীক্ষা হওয়ার পর গত ৫ সেপ্টেম্বর অস্ত্রোপচার করার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা।
তখনকার রিপোর্ট অনুযায়ী বাম কিডনি তখনো কিছুটা কাজ করছিল, আর ডান পাশের কিডনি সম্পূর্ণ ভালো ছিল।
রফিক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক ইউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক আমাকে বলেন, ‘বাম পাশের কিডনি রাখতেই চাই না, একটা কিডনি নিয়ে মানুষ বছরের পর বছর বেঁচে থাকে।’
এরপর গত ৫ সেপ্টেম্বর তার অস্ত্রোপচার হয়। কিন্তু অস্ত্রোপচারের সময় চিকিৎসক দুইটি কিডনিই ফেলে দেন বলে জানান রফিক সিকদার।
এই অভিযোগ ওঠার পর বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটিও গঠন করে। তদন্ত কমিটি রোববার তাদের প্রতিবেদন জমা দেবে।
রওশন আরার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে মৃতদেহ থেকে রক্ত, মস্তিস্কের কিছু অংশ সংগ্রহ করা হয়েছে। এগুলো হিস্ট্রো প্যাথলজিতে পাঠানো হয়েছে। এগুলোর রিপোর্ট এলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বলা যাবে।
মেডিকেল বোর্ডের অন্য দুই চিকিৎসক ছিলেন প্রভাষক প্রদীপ বিশ্বাস ও কবির সোহেল।
রওশনারার মৃতদেহ গ্রামের বাড়ি পাবনার আমিনপুরে নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তার ছেলে রফিক সিকদার।
আরও পড়ুন
কিডনি ‘খোয়া’ যাওয়ায় তদন্ত কমিটি
চিকিৎসকের অসতর্কতায় দুই কিডনি হারালেন মা
মারা গেলেন দুই কিডনি হারানো মা, ছেলে যাবেন আদালতে
সারাবাংলা/এসএসআর /একে