চলতি সপ্তাহে সংসদ নির্বাচনের তফসিল: ইসি সচিব
৩ নভেম্বর ২০১৮ ২০:১৬
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: চলতি সপ্তাহে একাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষনার প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। শনিবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, রোববার (৪ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় কমিশনের মুলতবি সভায় তফসিল ঘোষণা করার বিষয়ে আলোচনা হবে। এখানে ভোটের তারিখ, মনোনয়নপত্র দাখিল, বাছাই ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করা হবে। তফসিল নিয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হবে। আশা করি, এ সপ্তাহের মধ্যে তফসিল ঘোষণা করা হবে।
হেলালুদ্দীন আহমদ আরও জানান, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) বিধিমালা এবং তফসিল নিয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে আগামীকাল। শনিবারের সভায় অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার বিধিমালা অনুমোদন হয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রার্থী নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে গিয়ে ফরম পূরণ শেষে ডাউনলোড করে স্বাক্ষর করবেন। এরপর তা পিডিএফ আকারে আপলোড করে সাবমিট করবেন। এ ক্ষেত্রে মোবাইলে মেসেজ বা ই-মেইল ঠিকানায় রিসিভ কপি পাঠানো হবে।
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের বিষয়ে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, আজকের বৈঠকটি রোববার বিকেল ৩টা পর্যন্ত মুলতবি ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে ইভিএম ব্যবহারের বিধিমারা চূড়ান্ত করা হবে। ইতোমধ্যে নির্বাচনের সামগ্রিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এছাড়া সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে। ৭৫টি দাবি আপত্তি নিষ্পত্তি করা হয়েছে। ভোটার তালিকা প্রস্তুত করে প্রার্থীদের জন্য সিডি প্রস্তুত করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়গুলোর সঙ্গে বৈঠক করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দলের সদস্য পদে থাকতে পারবেন কি না, তা আদালতের রায় পর্যালোচনা করে দেখবে ইসি।
গত ৩১ অক্টোবর হাইকোর্ট এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনকে বিএনপির সংশোধিত গঠনতন্ত্র গ্রহণ না করার নির্দেশ দিয়েছেন। দলটি গঠনতন্ত্র সংশোধন করে সাত নম্বর ধারা তুলে দিয়েছে। যেখানে বলা হয়েছিল- ১৯৭২ সালের রাষ্ট্রপতির ৮ নম্বর আদেশে দণ্ডিত ব্যক্তি, দেউলিয়া, উন্মাদ, সমাজে দুর্নীতিপরায়ণ বা কুখ্যাত বলে পরিচিত ব্যক্তি জাতীয় কাউন্সিল, জাতীয় নির্বাহী কমিটি, জাতীয় স্থায়ী কমিটি বা যেকোনো পর্যায়ে কোনো নির্বাহী কমিটির সদস্য পদের কিংবা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের প্রার্থী পদে অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, আদালত একটি নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা সেটি কমিশনের কাছে তুলবো। সেখানেই পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, আমরা এখনও লিখিত দাবি দেখিনি। তাদের দাবি নিয়েও রোববার আলোচনা হবে।
সারাবাংলা/জিএস/এটি/জেডএফ