Sunday 19 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘পাভেলকে এনে দাও, নইলে ওদের কুপিয়ে মারো’


৪ নভেম্বর ২০১৮ ১৭:৩৭ | আপডেট: ৪ নভেম্বর ২০১৮ ১৭:৫০

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: ‘আমার পাভেলকে ওরা কুপিয়ে মেরেছে, আমার সামনে মেরেছে। আমার পাভেলকে এনে দাও। নইলে ওদেরকেও এমন ভাবে কুপিয়ে মারো।’ কথাগুলো বলছিলেন নিহত পাভেলের হবু স্ত্রী মারিয়া আক্তার।

মারিয়া বলেন, ‘গতকাল যখন পাভেলকে মারে, তখন আমি ওর সঙ্গেই ছিলাম। আমার দুই নভেম্বর আমার জন্মদিন ছিল। সেই উপলক্ষে আমাকে নিয়ে ঘুরতে যায় পাভেল। সেখানে তুহিন, মাসুম, রাব্বী, এরফানও যায়। এসময় বোনকে উত্ত্যক্ত করায় তুহিনকে বকাবকি করে এবং এক পর্যায়ে চড় মারে পাভেল। তখন তুহিন দৌড়ে গিয়ে বাসা থেকে ধারাল অস্ত্র এনে বাংলা সিনেমার মত পাভেলের পেটসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে।’

পাভেলের মামা রাজিব হোসেন জানান, এক ভাই বোনের মধ্যে পাভেল ছিল বড়। দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছিলো সে। পরে ছাত্রলীগের সঙ্গে চলতো। গত একবছর ধরে পাভেলের ছোট বোনকে উত্ত্যক্ত করে আসছে একই এলাকার তুহিন ওরফে বাঘা তুহিন। শুধু কলেজে যাওয়া-আসার পথে নয়, বাসার ছাদে এবং বাসার জানালা দিয়ে টর্চ মারতো সে। পাভেল বিভিন্ন সময় তুহিনকে নিষেধ করতো। এর জেরেই পাভেলকে খুন করা হয়।

বোনকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় প্রাণ গেল ভাইয়ের

এর আগে, শনিবার (৩ নভেম্বর) দিনগত রাতে ছুরিকাঘাতে আহত হয় পাভেল। রাতেই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার সকাল ৯টার দিকে আইসিইউতে মৃত্যু হয় তার।


পাভেল পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার কেশবপুর গ্রামের ট্রাক চালক মনির হোসেন সন্তান। বর্তমানে পশ্চিম জুরাইন মাজার গেট এলাকায় থাকতো।

শ্যামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, আহত পাভেলের ছোট বোনকে উত্ত্যক্ত করতো তুহিন। তার সঙ্গে আরও কয়েকজন ছিল। পাভেল ঘটনার প্রতিবাদ করায় তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়। যারা পাভেলকে ছুরিকাঘাত করেছে তারা পাভেলের এলাকার ছোট ভাই। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন, আসামিদের ধরার চেষ্টা চলছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসএসআর/এমও

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর