রাজাপাকসার বিরুদ্ধে ভোটদানে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ তামিলরা
৪ নভেম্বর ২০১৮ ২৩:০১
।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।
ক্ষমতার লড়াইয়ে আরও একটি ধাক্কা খেলেন শ্রীলংকার সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসা। দেশটির সংখ্যালঘু তামিলদের একটি জোট জানিয়েছে, পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোট হলে তারা রাজাপাকসার বিরুদ্ধে ভোট দেবেন। খবর আল জাজিরার।
শনিবার (৩ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে তামিল ন্যাশনাল এলায়েন্স (টিএনএ) জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাজাপাকসার নিয়োগ ‘অসাংবিধানিক ও অবৈধ’। তারা আরও বলেছে, জোটের সদস্যরা নিশ্চিতভাবেই অনাস্থা ভোটে তার বিরুদ্ধে ভোট দেবে।
উল্লেখ্য, গত মাসের শেষ সপ্তাহে তৎকালীন ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহকে বরখাস্ত করে তার জায়গায় রাজাপাকসাকে নিয়োগ দেন প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা। বন্ধ করে দেন পার্লামেন্ট। এরপর থেকেই দেশটিকে চরম রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করছে।
রাজাপাকসার নিয়োগের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে হাজার হাজার মানুষ। সাবেক এই প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহারসহ অনেক অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে, বরখাস্ত হওয়ার পর থেকেই পার্লামেন্টে নিজের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের দাবি জানিয়ে আসছেন বিক্রমসিংহ। এ অবস্থায় ব্যাপক চাপের মুখে ঘোষিত সময়ের আগেই ৫ নভেম্বর পার্লামেন্ট খুলে দেওয়ার কথা জানিয়েছে সিরিসেনার সহযোগীরা। তবে খোলার পর তাতে কোনো অনাস্থা ভোট হবে কি না— সে বিষয়ে নিশ্চিতভাবে এখনও কিছু জানা যায়নি। যদিও সিরিসেনার দলের এক আইনপ্রণেতা বলেছেন, পার্লামেন্ট খুললেও কোনো ভোটদান অনুষ্ঠিত হবে না।
এদিকে টিএনএ জানিয়েছে, তাদের জোটের ১৫ জন আইনপ্রণেতার সমর্থন পাবেন বিক্রমসনিংহ। শ্রীলংকার ২২৫ সদস্যের আইনসভায়, অনাস্থা ভোটে এই সমর্থন চূড়ান্ত ফলাফলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। কেননা রাজাপাকসা ও বিক্রমসিংহ উভয়েই বর্তমানে প্রায় ১০০ করে আইনপ্রণেতার সমর্থন নিশ্চিত করতে পরেছেন। অনাস্থা ভোটে জয়ী হতে অন্তত ১১৩টি ভোট প্রয়োজন।
শ্রীলংকায় সহায়তা বন্ধ করেছে জাপান
বিক্রমসিংহ বলেছেন, শ্রীলংকার রাজনৈতিক সংকট বিবেচনায় দেশটিতে ১০০ কোটি ডলারের বেশি পরিমাণ উন্নয়নমূলক সহায়তা স্থগিত করে দিয়েছে জাপান। দেশটিতে গণতন্ত্রের ভবিষ্যত নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণেই জাপান এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন জানিয়েছে, তাদের সদস্য দেশগুলোতে শ্রীলংকার শুল্কমুক্ত রফতানির সুবিধা বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে। এতে করে শ্রীলংকার অর্থনীতি আরও সংকটের মুখে পড়তে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন-
শ্রীলংকার রাজনৈতিক সংকট ঘনীভূত হচ্ছে
সারাবাংলা/আরএ