Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

৮ নভেম্বর তফসিল


৪ নভেম্বর ২০১৮ ১৯:০৬

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: আগামী বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। ওই দিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ও বাংলাদেশ বেতারে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। সেই ভাষণের মাধ্যমেই তিনি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন।

বোববার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায়  নির্বাচন কমিশনের কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সভা শেষে সন্ধ্যা ৭টায় ইসি কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদত হোসেন সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা ৮ নভেম্বর তফসিল ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ওইদিন বিকেলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণের মাধ্যমে সংসদ নির্বাচনের বিস্তারিত তফসিল ঘোষণা করবেন।

এখানে উল্লেখ্য, সাধারণত সন্ধ্যা ৭টার পরে বিটিভি-বেতারে সিইসি’র জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণের মাধ্যমে তফসিল ঘোষণা করা হয়। সর্বশেষ দশম সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে সিইসি সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছিলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, ৪ নভেম্বর আমাদের তফসিল দেওয়ার কথা ছিল। এখন সবকিছু বিবেচনা করে ৮ নভেম্বর তফসিল ঘোষণা করা হবে।

তিনি বলেন, ৩ ও ৪ নভেম্বরের কমিশন সভায় প্রয়োজনীয় বিধিমালা চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং শেষে তা জারি করা হবে।

ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে এ নির্বাচন কমিশনার জানান, স্বল্প পরিসরে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। কতসংখ্যক আসনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে, সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।

বিজ্ঞাপন

বিএনপির গঠনতন্ত্র নিয়ে আদালতের নির্দেশনা প্রতিপালনের কথাও জানান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন। তবে এ বিষয়টি কতদিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করা হবে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তারিখ বলেননি তিনি। নির্বাচন কমিশনার বলেন, তফসিল ঘোষণার আগে নিষ্পত্তি করব কি না— সে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। যেহেতু আদালতের নির্দেশনা প্রতিপালনের বিষয় রয়েছে, বাধ্যবাধকতা রয়েছে; তাই খুব শিগগিরই তা আমরা তা করব।

খালেদা জিয়া, তারেক জিয়া ভোট করতে পারবেন কি না— জানতে চাইলে এ প্রশ্ন এড়িয়ে যান এ নির্বাচন কমিশনার।

সংবাদ সম্মেলনে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ ও ইসি জনসংযোগ পরিচালক যুগ্মসচিব এস এম আসাদুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত কমিশনের ৩৮তম কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে সন্ধ্যায় শুরু হয় ৩৯তম কমিশন সভা। এ সভাতেই তফসিল ঘোষণার সিদ্ধান্ত হয়।

কমিশন সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও শাহাদাত হোসেন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

৪৫ দিন সময় রেখে তফসিল

সাধারণত ভোটের দিনের আগে ৪০ থেকে ৪৫ দিন হাতে রেখে তফসিল ঘোষণা করা হয়। সর্বশেষ দশম সংসদ নির্বাচনে তফসিল ঘোষণার ৪২ দিন পর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। একাদশ সংসদ নির্বাচনেও ভোটের আগে ৪৫ দিন সময়কে ‘স্ট্যান্ডার্ড’ মেনে ভোটের সময়সূচি ঘোষণা করা হচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী। তিনি বলেন, মনোনয়নপত্র দাখিল, বাছাই, প্রত্যাহার ও ভোটের তারিখ ৮ নভেম্বরই তফসিলের সময় চূড়ান্তভাবে জানানো হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, আপনার জানেন, একটা স্ট্যান্ডার্ড সময় লাগে। তা ৪৫ দিনের কাছাকাছি।

বিজ্ঞাপন

কবে হবে ভোট

আগামী ৮ নভেম্বর তফসিল ঘোষণা করা হলে ৪০ দিনের সময় শুরু হবে ১৭ ডিসেম্বর থেকে। ১৬ ডিসেম্বরের পরে ১৭ থেকে ২০ ডিসেম্বর (সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত হিসাব করলে সময় থাকে ৪০ থেকে ৪৩ দিন। এরপর ২১ ও ২২ ডিসেম্বর যথাক্রমে শুক্র ও শনিবার। এরপর তফসিল ঘোষণার ৪৬ ও ৪৭ দিন পর আসে যথাক্রমে ২৩ ও ২৪ ডিসেম্বর। ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন থাকায় সেদিন বাদ দিলে পরের দুই কার্যদিবস— ২৬ ও ২৭ ডিসেম্বর। ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত হিসাব করলে দিনটি তফসিল ঘোষণার ৪৯ দিন পরে আসে। এরপর ২৮ ও ২৯ ডিসেম্বর শুক্র ও শনিবার বাদ দিলে এ বছরের মধ্যেই ৩০ ও ৩১ ডিসেম্বর নির্বাচন আয়োজন করতে গেলে ইসিতে তফসিল ঘোষণার পর সময় দিতে হবে ৫০ বা ৫১ দিন।

অবশ্য এর আগে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানিয়েছেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি রয়েছে ইসির।

সারাবাংলা/জিএস/টিআর

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর