Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বেনাপোল ইমিগ্রেশনে ২৩৩ গ্রাম স্বর্ণসহ আটক এক


৪ নভেম্বর ২০১৮ ১৯:২৪

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: যশোরের বেনাপোল ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে ২৩৩ গ্রাম স্বর্ণসহ এক যাত্রীকে আটক করেছে শুল্ক গোয়েন্দা।

রোববার (৪ নভেম্বর) দুপুরে অনেক নাটকীয়তার পর শরিয়তপুরের জাজিরার মো. সহিদুল ইসলামকে (২৬) স্বর্ণসহ আটক করা হয়। কাস্টমসের ডিজি ড. সহিদুল ইসলাম সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ‘রোববার সকালে ভারতে যাওয়ার উদ্দেশে ওই যাত্রী বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্টে আসেন। শুল্ক গোয়েন্দারা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই যাত্রীকে নজরদারিতে রাখে। কাস্টমস ও ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করার পর তাকে চ্যালেঞ্জ করেন শুল্ক গোয়েন্দা।’

জিজ্ঞাসাবাদে ওই যাত্রী কোনোভাবেই তার পেটে স্বর্ণ থাকার কথা স্বীকার করছিলেন না। তবে তার কথাবার্তার অসংলগ্নতা, সন্দেহজনক আচরণ দেখে গোয়েন্দাদের সন্দেহ আরো ঘনীভূত হয়। পরে তাকে বেনাপোল চেকপোস্টে শুল্ক গোয়েন্দার অফিসকক্ষে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু তিনি বারবার তার কাছে স্বর্ণ থাকার কথা অস্বীকার করতে থাকেন। কিন্তু ব্যক্তির শরীরে স্বর্ণ থাকার ব্যাপারে শুল্ক গোয়েন্দার কাছে নিশ্চিত তথ্য থাকায় কর্মকর্তারা অনমনীয় থাকেন।

নিজে থেকে বের না করে দিলে যাত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে অপারেশন করে তলপেট কেটে স্বর্ণ বের করা হবে বলার পরে তিনি আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন। কিছুক্ষণ চিন্তার পর শরীরে স্বর্ণ থাকার কথা স্বীকার করেন এবং অপারেশন ছাড়াই স্বর্ণ বের করে দেবেন বলে ওয়াদা করেন ওই যাত্রী। এরপর চলে শরীর থেকে স্বর্ণ বের করার পালা।

যাত্রীকে বেনাপোলে শুল্ক গোয়েন্দা অফিসে নিয়ে এসে কলা ও প্যাকেট জুস খেতে দেওয়া হয়। আরও দেওয়া হয় লুঙ্গি। লুঙ্গি পরে শুল্ক গোয়েন্দা ও অন্যান্য সংস্থার উপস্থিতিতে টয়লেটের অভ্যন্তরে বিশেষ কায়দায় পায়ুপথ দিয়ে একে একে ২টি স্বর্ণবার বের করেন মো. সহিদুল ইসলাম।

বিজ্ঞাপন

উদ্ধার করা দুইটি স্বর্ণবারের প্রতিটির ওজন ১০ তোলা। ওজন ২৩৩ গ্রাম আটক স্বর্ণের মূল্য প্রায় ১১ লাখ ৬০ হাজার টাকা।

পাসপোর্ট পরীক্ষায় দেখা যায়, এই ২০১৮ সালে তিনি ৪৩ বার ভারত ভ্রমণ করেছেন। আটক স্বর্ণমানব মো. সহিদুল ইসলামকে চোরাচালানের দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং অন্যান্য আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। উদ্ধার করা স্বর্ণ শুল্ক আইন অনুযায়ী বেনাপোল কাস্টমস গুদামে জমা করা হবে এবং ফৌজদারি মামলার মাধ্যমে আসামিকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

সারাবাংলা/ইউজে/এমও

বেনাপোল স্বর্ণ উদ্ধার

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর