উন্নয়নের প্রচারের সময় হামলা, জড়িতদের শাস্তির দাবি
৪ নভেম্বর ২০১৮ ২২:১১ | আপডেট: ৪ নভেম্বর ২০১৮ ২২:৩১
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: বর্তমান সরকারের উন্নয়নের প্রচার করার সময় রাজবাড়ী জেলায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির আইন বিষয়ক সদস্য মেহেদী হাসানের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। এই হামলার জন্য তারা দায়ী করেছেন বর্তমান সংসদ সদস্য জিল্লুল হাকিমকে। এ ঘটনায় দোষীদের শাস্তি দাবি করেছেন মেহেদী হাসান।
রোববার (৪ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের কাছে এসব অভিযোগ করেন মেহেদী হাসান।
তিনি বলেন, রাজবাড়ী-২ আসনের পাংশা উপজেলায় আওয়ামী লীগের পক্ষে গণসংযোগ, লিফলেট বিতরণ ও বর্তমান সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড ভিডিওচিত্রের মাধ্যমে প্রচারের কাজ চলছিল। পাংশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাও (ওসি) উপস্থিত ছিলেন। তার সামনেই সংসদ সদস্য জিল্লুল হাকিম তার লোকজন দিয়ে আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
মেহেদী হাসান বলেন, গত ২ সেপ্টেম্বর পাংশা উপজেলায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। এ উপলক্ষে উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরিদ হাসান ওদুদের বাড়িতে বেধড়ক লাঠিপেটা ও অতর্কিত গুলিবর্ষণ করা হয়। পাশাপাশি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। রাজবাড়ী-২ আসনের জনগণ অতর্কিত এই হামলায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, পাংশা উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আবুল কালাম আজাদকে জিল্লুল হাকিমের সমর্থকরা লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে পাংশা সার্কেল অফিসের সামনে মৃতপ্রায় অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যায়। বর্তমানে ওই এলাকার সাংবাদিকরা প্রায় জিম্মির মতো ও আতঙ্কিত অবস্থায় কাজ করছেন।
মেহেদী হাসান অভিযোগ করে বলেন, রাজবাড়ী-২ আসনে জাতীয় শোক দিবস, জাতীয় চার নেতার মৃত্যুবার্ষিকীসহ কোনো ধরনের দলীয় অনুষ্ঠান করতে দেন না বলে এমপির বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। তার অবৈধ অর্থ এলাকায় অশান্তি তৈরি করেছে। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। পাশাপাশি হামলাকারীদের শাস্তিও দাবি করেন তিনি।
সারাবাংলা/ইউজে/টিআর