জিন্নাত আলীর মস্তিষ্কের টিউমার অপসারণে অস্ত্রোপচার প্রয়োজন
৪ নভেম্বর ২০১৮ ২৩:০৪
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: দেশের সবচেয়ে লম্বা মানব কক্সবাজারের রামু উপজেলার মো. জিন্নাত আলীর মস্তিষ্কের টিউমার অপসারণে অস্ত্রোপচার প্রয়োজন। তবে টিউমার অপসারণের জন্য এখনও রাজি নন জিন্নাত আলী। তাই তাকে কাউন্সিলিং করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।
জিন্নাত আলীকে নিয়ে রোববার (৪ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ডা. মিল্টন হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া এসব কথা বলেন। জিন্নাত আলী হাসপাতালের অ্যান্ডোক্রাইনোলজি বিভাগে চিকিৎসাধীন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল হান্নান, পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রি. জেনারেল মো. আব্দুল্লাহ আল হারুন, নিউরোসার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ টি এম মোশাররফ হোসেন, অ্যান্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. ফরিদ উদ্দিন এবং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. শাহাজাদা সেলিমসহ অন্যরা।
জিন্নাত আলীর উচ্চতা ৭ ফুট ৬ ইঞ্চি। তার সম্পর্কে অ্যান্ডোক্রাইওনালজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, জিন্নাত আলীর বয়স ২২ বছর। ১২ বছর বয়সে প্রথম লক্ষ্য করা হয়, তার সমবয়সী এবং তার বড় ভাইদের তুলনায় জিন্নাত আলী অস্বাভাবিকভাবে লম্বা হয়ে উঠছিল। সে সময়ে প্রথম স্থানীয় চিকিৎসকদের কাছে গেলে তাকে বিএসএমএমইউ’তে রেফার করা হয়। প্রায় ৫ বছর আগে জিন্নাত আলী অ্যান্ডোক্রাইনোলজি বিভাগে ভর্তি হয়। সে সময় বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরিক্ষার পর তার মস্তিষ্কে এক ধরনের টিউমার পাওয়া যায়, যা তার বেড়ে উঠার কারণ। ওই সময়ই তাকে অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু জিন্নাত আলী তাতে অসম্মতি জানিয়ে হাসপাতাল থেকে চলে গিয়েছিলেন। এই দীর্ঘ সময়ে তার সমস্যাও বেড়ে গেছে।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর জিন্নাত আলী ডান পায়ে ব্যথা ও ফোলা নিয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেন, এতে তার আংশিক উন্নতি হয়। পরে স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী মো. নাসিমের নজরে আসে বিষয়টি। উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ২২ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়।
এরপর তার বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ডায়াবেটিস, ডিসলিপিডিমিয়া, অস্টিওআথ্রাইটিস এবং সেলুলেটিস অব রাইট লেগ সমস্যা ধরা পরে। তবে তার মূল সমস্যা হলো মস্তিষ্কে পিটিওটারি টিউমার। এখন তার অস্ত্রোপচার এবং অস্ত্রোপচার পরবর্তী চিকিৎসা প্রয়োজন, বলেন অধ্যাপক ডা. মো. ফরিদ উদ্দিন।
কক্সবাজার রামু উপজেলার বাসিন্দা মো. আমির হামজা ও শাহ পরী বেগমের তৃতীয় সন্তান মো. জিন্নাত আলী।
সারাবাংলা/জেএ/এটি