শিশু নীলকে হাইকোর্টে হাজির নিয়ে পরবর্তী আদেশ রোববার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: আট মাস ধরে মায়ের কাছ থেকে দূরে রাখা ২০ মাস বয়সী শিশু মৌসুম গাইন নীলকে আদালতে হাজিরের জন্য ১৪ জানুয়ারি দিন ঠিক করেছেন হাইকোর্ট।

রোববার বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট এ দিন ঠিক করে দেন।

নীলের মা ফরিদা ইয়াসমিন মনি’র দায়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ২০ ডিসেম্বর বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চ আদেশ দিয়েছিলেন। রোববার (৭ জানুয়ারি) শিশু নীলকে হাজির করতে বলা হয়। কিন্তু তাকে রোববার অাদালতে হাজির করা হয়নি।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী  অনিক অার হক, সঙ্গে ছিলেন অাইনুন নাহার সিদ্দিকা।

পরে আইনজীবী আইনুন নাহার জানান, অাজ অাদালত শিশুটিকে হাজির করার কথা ছিল কিন্তু তারা শিশুটিকে হাজির করেননি। কেন হাজির করা হয়নি তারও কোন জবাব পাওয়া যায়নি। তবে হাইকোর্টের অাগের অাদেশের কপি বিবাদীদের কাছে পৌছেছে কিনা সেটি অাদালত জানতে চেয়েছেন।  এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি ও অাদেশের জন্য অাগামী রোববার দিন ঠিক করে দিয়েছেন অাদালত।

শিশু মৌসুম গাইন নীলকে চলতি বছরের ১৭ এপ্রিল তার দাদী ও চাচা নিয়ে যায়। এরপর আর তাকে ফেরত না দেওয়ায় হাইকোর্টে হেবিয়াস করপাস রিট দায়ের করে শিশুটির মা।

শিশু নীলের মা ফরিদা ইয়াসমিন মনি জানান, আমি মুসলমান। আর আমার স্বামী নিউটন গাইন হিন্দু ধর্মালম্বী ছিলেন। পরে সে ধর্মান্তরিত হয়ে লিটন হোসেন নাম ধারণ করেন। এরপর আমাদের বিয়ে হয় কিন্তু তার পরিবার আমাদের বিয়ে মেনে নিতে পারেনি।

কিন্তু আমার বাবু হওয়ার পর থেকে ওদের সঙ্গে আমাদের একটি ভালো সম্পর্ক হয়। ঢাকার মুগদার বাসায় আমার শশুর বাড়ীর লোকেরা আসা যাওয়া করতো।

এক পর্যায় আমার শশুর বাড়ী থেকে আমার কাছে দুই লাখ টাকা দাবি করে। কিন্তু ওই টাকা দিতে না পারায় স্বামীর সঙ্গে আমার দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এই দ্বন্দ্বের জের ধরে আমার স্বামী আমাকে ছেড়ে চলে যায়।

এরই এক পর‌্যায় আমার বাবুকে তারা নিয়ে চলে যায়। পরে আমি আমার স্বামী-শাশুরীর বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা দায়ের করি। কিন্তু তাতেও আমার বাবুকে না পাওয়ায় হাইকোর্টে আসি।

সারাবাংলা/এজেডকে/জেএএম