সোহেলের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু, নথি জব্দ-শোনা হবে বন্দিদের অভিযোগ
৫ নভেম্বর ২০১৮ ২০:৫৩
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
চট্টগ্রাম ব্যুরো: প্রায় অর্ধকোটি টাকা ও মাদক নিয়ে আটক চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার সোহেল রানা বিশ্বাসের অনিয়ম-দুর্নীতির তদন্তে নেমে বেশ কিছু নথিপত্র জব্দ করেছে সংশ্লিষ্ট কমিটি। এছাড়া সোহেল রানার সহকর্মী কারা কর্মকর্তাদের সঙ্গেও কথা বলেছেন তারা।
সোমবার (৫ নভেম্বর) থেকে তিন সদস্যের এই তদন্ত কমিটি তাদের কাজ শুরু করেছে। এতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বরিশাল বিভাগের কারা উপ-মহাপরিদর্শক ছগির মিয়া।
ছগির মিয়া সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা তিনদিন থাকব। প্রথমদিনে আজ (সোমবার) কিছু নথিপত্র নিয়ে এসেছি। সেগুলো যাচাই-বাছাই করছি। কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। আগামীকাল আবার যাব। কারারক্ষীদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। বন্দিদের কোনো অভিযোগ আছে কি না সেটাও দেখব। এরপর সোহেল রানাকে গ্রেফতারের স্থান কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গিয়েও তদন্ত করা হবে।’
তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির বাকি দুই সদস্য হলেন, যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ কারা তত্ত্বাবধায়ক (সিনিয়র জেল সুপার) কামাল হোসেন ও খুলনা কারাগারের জেলার মো. জান্নাত-উল-ফরহাদ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তদন্ত কমিটির তিন সদস্য চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রবেশ করেন। দুপুর আড়াইটার দিকে তারা সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন।
গত ২৬ অক্টোবর চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার সোহেল রানা ট্রেনে চট্টগ্রাম থেকে ময়মনসিংহ যাচ্ছিলেন। দুপুর পৌনে ১টার দিকে ট্রেনটি ভৈরব স্টেশনে পৌঁছলে রেলওয়ে পুলিশ একটি কেবিনে তল্লাশি চালায়। এ সময় তার লাগেজে ১২ বোতল ফেনসিডিল ও নগদ ৪৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা পাওয়া যায়।
পুলিশ জানায়, তাকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে তথ্য পাওয়ার পর তার নিজের নামে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকার ৩টি চেক, ১ কোটি টাকার ২টি এফডিআর, স্ত্রী হোসনে আরা পপির নামে ১ কোটি টাকার ২টি এফডিআর এবং শ্যালক রকিবুল হাসানের নামে ৫০ লাখ টাকার একটি এফডিআর জব্দ করা হয়।
গ্রেফতার হওয়ার পর গত ২৮ অক্টোবর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এছাড়া তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করে কমিটিকে ১২ নভেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।
সারাবাংলা/আরডি/এটি