জীবন যাবে, তবুও খালেদাকে মুক্ত করা হবে: মান্না
৬ নভেম্বর ২০১৮ ১৬:৪৭
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে: জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, বেগম জিয়াকে জেলে রাখা যাবে না। জীবন যাবে, তবুও তাকে (খালেদা জিয়া) মুক্ত করা হবে। আজ যারা ছবি তুলেছেন আর ভিডিও করেছেন- প্রধানমন্ত্রীর কাছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে এবং আইজিপি’র কাছে সেইগুলো পাঠিয়ে দেন। তারা দেখুক, জনগণ খালেদা জিয়াকে কতটা ভালোবাসে।
মঙ্গলবার (৬ নভেম্বর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশে বক্তব্য রাখার সময় তিনি এসব কথা বলেন। এদিন দুপুর ১টায় আনুষ্ঠানিকভাবে জনসভা শুরু হয়। তবে জনসভা শুরুর আগেই ঢাকা এবং এর আশেপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসতে থাকে।
আরও পড়ুন: সোহরাওয়ার্দীতে ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশে মানুষের ঢল
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন এবং প্রধান বক্তা হিসেবে অংশ নেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে ভোটার ছিল না। কুকুর-বিড়ালের ছবি দেখেছে সবাই। আবার ভোট আসছে, মানুষ ভোট দিতে পারবে কি না- তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। সংলাপে আমরা বলেছি, শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। নির্বাচন কমিশনের অধীনেও নির্বাচন হবে না। সরকারে থেকে কোনো নির্বাচন হবে না। সাত দফার কিছু মানবেন না-ে অন্যদিকে বলছেন, নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে!
আরও পড়ুন: জোর করে নির্বাচন করা যাবে না, সমাবেশে ঐক্যফ্রন্ট নেতারা
তারা বললেন, কাউকে গ্রেফতার করা হবে না। অথচ গত রাতেও সারাদেশে রাজনীতিবিদদের গ্রেফতার করা হয়েছে। অক্টোবর মাসে ছয় হাজার মামলা হয়েছে। শেখ হাসিনা বললেন, কার নামে কত মামলা। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জবাব দিলেন, আমার নামে একশ’ মামলা। উনি বললেন, তালিকা দেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তালিকা দিলে ব্যবস্থা নিতে নিতে নির্বাচন পার হয়ে যাবে।
জমির উদ্দিন সরকার বলেন, দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টিসহ নিরপেক্ষ নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। অন্যথায় নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না। দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে না।
তিনি বলেন, সংসদ ভেঙে দিন। পার্লামেন্ট রেখে দেশে নির্বাচন হয় না।
সমাবেশে মির্জা আব্বাস বলেন, এই সরকারের পুলিশ বাহিনী রাতের অন্ধকারে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হামলা করছে, গ্রেফতার করছে। সরকার পুলিশ দিয়ে হামলা চালায় টিকে থাকতে চাইছে।
তিনি বলেন, এই লড়াই ক্ষমতায় যাওয়ার লড়াই নয়, এই লড়াই গণতন্ত্র রক্ষা এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই। আমাদের দেশের গণতন্ত্র এই হায়েনা সরকারের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই। আন্দোলন করে সরকারকে জায়গা মতো পাঠিয়ে দেবো।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/ইউজে/এটি