Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বল এখন প্রধানমন্ত্রীর কোর্টে, সংলাপ শেষে বাম গণতান্ত্রিক জোট


৭ নভেম্বর ২০১৮ ০০:২৯

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: সংলাপে আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরার পর বল এখন প্রধানমন্ত্রীর কোর্টেই রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের অন্যতম নেতা, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম।

মঙ্গলবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গণভবনে সংলাপে অংশ নেওয়ার পর সংলাপ শেষে রাত সাড়ে ১১টার দিকে এসব কথা বলেন তিনি।

আরও পড়ুন- ‘স্বাধীনতায় বিশ্বাসীরা চাইবেন না যুদ্ধাপরাধীরা ক্ষমতায় আসুক’

সিপিবি সভাপতি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা আমাদের বক্তব্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে সরাসরি ও স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছি। এখন বল তার কোর্টে। তিনি এগুলো বিবেচনা করে কী সিদ্ধান্ত নেন, সেটা তার বিষয়।

মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, এখন প্রধানমন্ত্রীর ওপরই নির্ভর করছে আগামী নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে কি না। আমরা নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুত। তবে পরিস্থিতি যদি অনুকূল না হয়, তাহলে নির্বাচন বয়কট করতেও প্রস্তুত আমরা। এখন আমরা অপেক্ষা করে দেখব, প্রধানমন্ত্রী আমাদের বক্তব্যগুলো কতটুকু বিবেচনায় নিয়েছেন।

সংলাপ শেষে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক সাইফুল হক সাংবাদিকদের বলেন, আমরা নির্বাচন করতে চাই। সে কারণেই নির্বাচনে গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি জন্য সংলাপ করছি, অন্যদিকে রাজপথেও ধারাববাহিকভাবে আন্দোলন করছি। আমরা এখনও আশা করতে চাই, শেষ মুহূর্তে হলেও সরকারের সদিচ্ছা জাগ্রত হবে এবং তারা উদ্যোগ নেবে।

প্রয়োজনে সংবিধানে সংশোধন আনা কঠিন নয় জানিয়ে সাইফুল হক বলেন, সংসদে সরকারি দলের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে। ইচ্ছা করলেই তারা সংবিধানে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনতে পারে। সংসদ এখনও কার্যকর। তাই আমরা একটি কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেছি।

বিজ্ঞাপন

বাম গণতান্ত্রিক জোটের এই সমন্বয়ক আরও বলেন, আমরা সংলাপের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে থাকব, সারাদেশের মানুষও তাকিয়ে থাকবে। আমরা আশা করব, জনগণের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার কথা বিবেচনায় রেখে সরকার সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ এবং কার্যকর অংশীদারত্ব নিশ্চিত করে একটি নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবে।

এদিকে সংলাপ শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি বলেন, আমরা তাদের কথা শুনেছি। আগামীকাল (বুধবার) পর্যন্ত শুনতে থাকব। ৮ নভেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টায় সংলাপের সারসংক্ষেপ নিয়ে আমাদের নেত্রী (শেখ হাসিনা) বক্তব্য রাখবেন। তাই আমি এই মুহূর্তে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না।

এর আগে, সংলাপে অংশ নিতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের ১৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল গণভবনে পৌঁছায়। সংলাপে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সংলাপের সূচনা বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, আমরা যুদ্ধাপরাধীদের সাজা দিয়েছি এবং সাজা কার্যকর করেছি। তারা আবার ক্ষমতায় আসুক, সেটা বাংলাদেশের জনগণ চায় না এবং আমরাও চাই না। যারা স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাস করে, তারাও চাইবেন না যে যুদ্ধাপরাধীরা ক্ষমতায় আসুক। এখন সামনে নির্বাচন। আমরা চাই, দেশের যে উন্নয়ন আমরা করেছি, গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রেখে সেই উন্নয়নটাও যেন অব্যাহত থাকে।

তিনি আরও বলেন, আমরা আজ বিশ্ব উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। বিশাল জনগোষ্ঠী নিয়েও আমরা কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হচ্ছি। এখন সামনে নির্বাচন। আমরা চাই দেশের উন্নয়নটা, গণতান্ত্রিক ধারাটা অব্যাহত রাখতে। তাহলে দেশের উন্নয়নও অব্যাহত থাকবে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এনআর/টিআর

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর