হাজার কোটি ডলার ছাড়ালো রফতানি আয়
৬ নভেম্বর ২০১৮ ২৩:৫৩
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: কয়েক মাসের ধারবাহিকতায় হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়েছে দেশের রফতানি আয়। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবরে) ১ হাজার ৩৬৫ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে, যা গত অর্থবছরের তুলনায় ১৮ দশমিক ৬৫ শতাংশ বেশি। মঙ্গলবার (৬ নভেম্বর) রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গত তিন মাসে রফতানি আয়ের প্রবৃদ্ধি ছিল ১৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ। সে হিসাবে মাসের ব্যবধানে রফতানি প্রবৃদ্ধির হার বেড়েছে প্রায় চার শতাংশ।
প্রতিবেদন থেকে আরও জানা যায়, অর্থবছরের প্রথম চার মাসে ১ হাজার ১১৩ কোটি ডলারের পোশাক রফতানি হয়েছে। এই আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ২০ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে ৯৪৩ কোটি ডলারের পোশাক রফতানি হয়েছিল। মাসের হিসাবে গত অক্টোবরে ৩৭১ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৩২ শতাংশ ও গত অর্থবছরের তুলনায় ৩০ শতাংশ বেশি।
বিশ্লেষক ও অর্থনীতিবিদরা বরাবরের মতোই বলছেন, পোশাক খাতের ওপর ভর করেই দেশের রফতানি আয়ে সুবাতাস বইছে।
পোশাকের খাতওয়ারি রফতানিতে দেখা গেছে, নিটওয়্যারখাতের পণ্য রফতানিতে ৫৮৭ কোটি ৫২ লাখ ডলার আয় হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় বেড়েছে ১৬ দশমিক ৯৯ শতাংশ। গত অর্থবছরের তুলনায় এই চার মাসে নিটওয়্যারখাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ। অন্যদিকে ওভেন গার্মেন্ট পণ্য রফতানিতে ৫৪৫ কোটি ৭৮ লাখ ডলার আয় হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬ দশমিক ১৩ শতাংশ বেশি। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২২ দশমিক ৬১ শতাংশ।
সব ধরনের পণ্য রফতানিতে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৩ হাজার ৯শ’ কোটি মার্কিন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। সেই অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১ হাজার ২১২ কোটি ডলার।
ইপিবি’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের চার মাসে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে (৮০ দশমিক ৩৭ শতাংশ) প্রবৃদ্ধি এসেছে কৃষিপণ্যে। এই খাত থেকে আয় হয়েছে ৩৬ কোটি ৬৫ লাখ ডলার। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রফতানি আয় বেড়েছে ৬৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ। অন্যদিকে গত চার মাসে হোম টেক্সটাইলখাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ। আয় হয়েছে ২৬ কোটি ৯৫ লাখ ডলার। চলতি অর্থবছরের চার মাসে প্লাস্টিক পণ্যে প্রবৃদ্ধি কমেছে ৩৩ দশমিক ১৪ শতাংশ। এখান থেকে আয় হয়েছে ৩ কোটি ৯৬ লাখ ডলার, যদিও তা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৭ দশমিক ৪০ শতাংশ বেশি।
তবে পাট ও পাটজাত পণ্যের রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি কমেছে। পূরণ হয়নি লক্ষ্যমাত্রাও। এই খাত থেকে এসেছে ২৮ কোটি ডলার। এছাড়া চামড়াজাত পণ্য রফতানিতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ দশমিক ২৩ শতাংশ কম আয় হয়েছে। প্রবৃদ্ধিও গত বছরের চেয়ে কমেছে ১৯ দশমিক ৪৩ শতাংশ। এখান থেকে আয় হয়েছে ৩৪ কোটি ৫২ লাখ ডলার। আরও যেসব খাতে প্রবৃদ্ধি কমেছে সেগুলো হলো- মাছ, গ্লাস ও জাহাজ।
সারাবাংলা/ইএইচটি/এটি