জাবিতে সিন্ডিকেট সভা ঘিরে শিক্ষকদের ‘ধস্তাধস্তি’
৭ নভেম্বর ২০১৮ ২০:৪৭
।। জাবি করেসপন্ডেন্ট।।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) সিন্ডিকেট সভাকে কেন্দ্র করে উপাচার্যপন্থি ও বিরোধী শিক্ষকদের মধ্যে ফের ‘ধস্তাধস্তি’র ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (৭ নভেম্বর) বিকেল সোয়া চারটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন রেজিস্ট্রার ভবনের দ্বিতীয় তলায় সিন্ডিকেট সভাকক্ষের সামনে সরকার সমর্থক শিক্ষকদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে
জানা যায়, বুধবার বিকেল চারটায় পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী সিন্ডিকেট সভা শুরু হওয়ার কথা ছিল। এর কিছু আগে উপাচার্য প্যানেল, সিন্ডিকেট ও ডিন নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত নতুন নিয়োগ না দেয়ার দাবিতে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবিরের নেতৃত্বে আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের একটি দল উপাচার্যের সাথে সাক্ষৎ করতে যান। এক পর্যায়ে সোয়া চারটার দিকে কৃষক লীগের সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য মোতাহার হোসেন মোল্যা সিন্ডিকেট সভাকক্ষে প্রবেশ করতে চাইলে উপাচার্য বিরোধী শিক্ষকরা পথরোধ করেন এবং সিন্ডিকেট সভায় অংশগ্রহণ না করার অনুরোধ জানান। এ নিয়ে উপাচার্যপন্থি ও উপাচার্যবিরোধী শিক্ষকরা ধাক্কাধাক্কি ও ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন। কয়েক মিনিট ধাক্কাধাক্কির পর উপাচার্যপন্থি শিক্ষকরা মোতাহের হোসেন মোল্লাকে সভাকক্ষে ঢুকিয়ে দেন। এরপর নির্ধারিত সময়ের আধাঘন্টা পর সিন্ডিকেট সভা শুরু হলে এক পর্যায়ে উপাচার্যবিরোধী সিন্ডিকেট সদস্যরা সিন্ডিকেট সভা বর্জন করে বেরিয়ে আসেন।
এ বিষয়ে উপাচার্যবিরোধী ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ’র সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক ফরিদ আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা কয়েকটি দাবি নিয়ে উপাচার্যের সাথে দেখা করতে এসেছি। এরপর যখন মোতাহের হোসেন এসছেন, তখন আমাদের শিক্ষকরা তার সাথে কথা বলতে চেয়েছেন। এর বাইরে কিছু নয়। কিন্তু উপাচার্যের শিক্ষকরা এখানে অবস্থান নিয়ে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছেন। পরে আমাদের সিন্ডিকেট সদস্যরা এ ঘটনার প্রতিবাদে সিন্ডিকেট সভা বর্জন করে বেরিয়ে এসেছেন।’
ঘটনার সময় উপস্থিত প্রক্টর সিকদার মো. জুলকারনাইন বলেন, ‘সিন্ডিকেট সভায় অনেক বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এটা শান্তভাবে অনুষ্ঠিত হবে এটাই প্রত্যাশা। এর মাঝে শিক্ষকদের এমন আচরণ একবারেই কাম্য নয়।’
এ বিষয়ে মোতাহার হোসেন মোল্যা বলেন, উপাচার্য বিরোধীরা সভা শুরুর আগে আমার সঙ্গে কথা বলতে পারতো। কিন্তু তা না করে আমাকে সভাকক্ষে প্রবেশে বাধা দেয়। যা অত্যন্ত অশোভন ও নিন্দনীয়। এ ধরনের কার্যক্রম বিশ্ববিদ্যালয়ে হওয়া উচিৎ না। এসব বিষয় নিয়ে সরকারের উর্ধ্বতন পর্যায়ে কথা বলবো।
এর আগে গত ১৭ এপ্রিল পরিবহন ডিপোতে তালা দেয়া নিয়ে এ দুই শিবিরের শিক্ষকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
সারাবাংলা/এমএস