Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

খালেদাকে কারাগারে ফিরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি, নিরাপত্তা জোরদার


৮ নভেম্বর ২০১৮ ১০:৪২

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা : দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে ফেরত পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।

বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হবে বলে নিশ্চিত করেছে কারা অধিদফতর।

এছাড়া বিএসএমএমইউ এর একটি সূত্রও জানিয়েছে, আজ স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে একটি ব্রিফিং করা হবে। সেখানেই তাকে কারাগারে নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

সকাল থেকেই বিএসএমএমইউ এর চারপাশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আশপাশের এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য। একইভাবে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরাতন কারাগারের আশপাশেও। সকাল থেকে বন্দ করে দেওয়া হয়েছে কারাগারের সামনের যান চলাচল।

এর আগে গত ৬ অক্টোবর পুরান ঢাকার ওই বিশেষ কারাগার থেকে চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা ও চিকিৎসা করা হয় তার।

গত ৩০ অক্টোবর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় দুদকের রিভিশন আবেদন গ্রহণ করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা পাঁচ বছর বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন হাইকোর্ট। নিম্ন আদালতে খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছিল এই মামলায়। একইসঙ্গে এ মামলায় অন্য দুই আসামির আপিল হাইকোর্ট খারিজ করে দিলে তাদের নিম্ন আদালতে পাওয়া ১০ বছরের সাজা বহাল থাকছে।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা ৮০ পয়সা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুদক। ২০১০ সালের ৫ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক হারুন-অর রশীদ। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়। এরপর এ বিচারকের উপর অনাস্থা জানিয়ে হাইকোর্টে আবেদন করে খালেদা জিয়া। পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে মামলাটি স্থানান্তর করে বিশেষ জজ আদালত ৫-এ দেওয়া হয়। এরপর দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত রায় দেন।

বিজ্ঞাপন

এ মামলায় ছয় আসামির মধ্যে খালেদা জিয়াসহ তিন জন কারাবন্দি, তিন আসামি পলাতক। খালেদা জিয়া ছাড়া কারাগারে থাকা বাকি দু’জন হলেন— মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ। পলাতক তিনজন হলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান, সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

মামলার এজাহারে জানা যায়, ১৯৯১-১৯৯৬ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন রমনা শাখার সোনালী ব্যাংকে প্রধানমন্ত্রীর এতিম তহবিল নামে একটি অ্যাকাউন্ট খোলেন, যার নম্বর ৫৪১৬। ওই হিসাবে ইউনাইটেড সৌদি কমার্শিয়াল ব্যাংকের ডি ডি নম্বর ১৫৩৩৬৭৯৭০-তে ১৯৯১ সালের ৯ জুন ১২ লাখ ৫৫ হাজার মার্কিন ডলার (তৎকালীন বাংলাদেশি মুদ্রায় চার কোটি ৪৪ লাখ ৮১ হাজার ২১৬ টাকা) জমা হয়।

পরে খালেদা জিয়া বিভিন্ন সময়ে ওই অ্যাকাউন্ট থেকে বিভিন্ন আসামির নামে ‘এফডিআর’ করে দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা ৮০ পয়সা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে উত্তোলন করেন, যা দণ্ডবিধির ৪০৯ এবং ১০৯ ধারা ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ ২ নম্বর আইনের ৫(২) ধারায় অপরাধ করেছেন।

সারাবাংলা/ইউজে/ এসআর/এআই/জেএ/এমএসএন

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

ভারত থেকে ফিরলেন ৯ বাংলাদেশি তরুণী
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:২৩

আজ জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দেবেন ড. ইউনূস
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:০৪

সবজি-মুরগির বাজার চড়া, অধরা ইলিশ
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:১০

সম্পর্কিত খবর