এক মাস পর কারাগারে ফিরলেন খালেদা জিয়া
৮ নভেম্বর ২০১৮ ১২:৫৭
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে এক মাস চিকিৎসা নেওয়ার পর আবারো কারাগারে ফিরলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার পরে কারাগারে ফেরেন তিনি। তবে সরাসরি কারাগারের কক্ষে না নিয়ে তাকে হাজির করা হয় কারাগারে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালত-৯ এ।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ে পাঁচ বছরের সাজা হয় খালেদা জিয়ার। ওই দিনই তাকে নেওয়া হয় পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে।
খালেদা জিয়াকে কারাগারে নেওয়ার পর থেকেই বিএনপি দাবি করে, তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে এবং তার সুচিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি। বিএনপির পক্ষ থেকে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার দাবি করা হয়।
পরে টানা আট মাস সাজা ভোগের পর গত ৬ অক্টোবর চিকিৎসার জন্য তাকে নেওয়া হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে তার শারীরিক বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়। চলে প্রয়োজন মাফিক চিকিৎসাও।
খালেদা জিয়াকে রাখা হয় বিএসএমএমইউ এর ৬১১ নম্বর ভিভিআইপি কেবিনে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাল মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. মো. আবদুল জলিল চৌধুরীর অধীনে তাকে ভর্তি করা হয়।
প্রাথমিক পরীক্ষা শেষে ৮ অক্টোবর বিএসএমএমইউ এর মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. আব্দুল জলিল চৌধুরী এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, রিউমেটিক আর্থ্রাইটিস বা গেঁটে বাত ও এ সংক্রান্ত জটিলতায় ভুগছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আর এই সমস্যা দীর্ঘদিন থাকলেও চিকিৎসা না হওয়ায় তৈরি হয়েছে তার শারীরিক জটিলতা। তিনি বাম হাত তুলতে পারেন না, বাম কাঁধ নাড়াতে পারেন না, তার ঘাড়, কোমর ও পায়েও রয়েছে ব্যাথা।
পরে ১০ অক্টোবর থেকে শুরু হয় তার চিকিৎসা।
এর মধ্যে গত ২৪ অক্টোবর জানা যায়, খালেদা জিয়া সর্দি জ্বরে ভুগছেন। সর্দি কাশি বেড়ে যাওয়ায় তার বুকের সিটি স্ক্যানও করানো হয়েছে।
গত ২৯ অক্টোবর বিএসএমএমইউ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহ আল হারুন সাংবাদিকদের জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে একটু ভালো। তিনি জানান, খালেদা জিয়ার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শেই পরীক্ষা-নীরিক্ষা চলছে। তাদের সুপারিশেই আদালতে যাননি খালেদা। বলেন, ‘মেডিকেল বোর্ড আমাকে বলেছে, উনি আদালতে যাওয়ার মতো ফিট না। আমি আদালতকে তা জানিয়েছি।’
সারাবাংলা/এসএমএন/জেএএম