Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সংসদে শোক প্রস্তাব: মানুষের মনে জায়গা করে নেওয়াই বড় অর্জন


৭ জানুয়ারি ২০১৮ ১৮:১২

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কাজের মধ্য দিয়ে মানুষের মনে জায়গা করে নেওয়াটাই একজন রাজনীতিকের বড় অর্জন। প্রয়াত নেতারা ব্যক্তিজীবনে সততা, নিষ্ঠা ও একাগ্রতার সঙ্গে কাজ করে মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। তিনি বলেন, রাজনীতিবিদরা সৎ, নিষ্ঠাবান হলে দেশের উন্নতি হয়।

রোববার বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনের শুরুর দিনে আনা শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া অধিবেশনে শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নেন ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বি মিয়া, প্রধান হুইপ আ স ম ফিরোজ, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু, এবি তাজুল ইসলাম, কামাল আহমেদ মজুমদার, মীর শওকাত আলী বাদশা ও ফজিলাতুন নেসা বাপ্পি। আলোচনা শেষে সর্বসম্মতিক্রমে শোক প্রস্তাবটি গৃহীত হয়। এরপর এক মিনিট নিরবতা পালন করেন সংসদ সদস্যরা।

প্রয়াত নেতাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করেন সংসদ সদস্য বজলুল হক হারুন।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বিদায়ী বছরে অনেক নিষ্ঠাবান নেতাকে আমরা হারিয়েছি। প্রয়াত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ছায়েদুল হক সততা ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে গেছেন। তার কাজের সফলতায় মৎস্য সম্পদ উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বের চতুর্থ স্থান অধিকার করেছে।

একজন রাজনীতিবিদ সৎ হলে দেশ এগিয়ে যায়। ছায়েদুল
হক সেই রকমই একজন মন্ত্রী ছিলেন। ২০০১ সালে আমাদেরকে পরিকল্পিতভাবে পরাজিত করা হয়। তখনও ছায়েদুল হক বিজয়ী হয়েছিলেন। তৃণমূলে তার জনপ্রিয়তা এমন পর্যায়ে ছিল, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকার চেষ্টা করেও তাকে হারাতে পারেনি। কারণ জনগণ তার সঙ্গে ছিল, জনগণের সমর্থন পেয়েছিলেন তিনি, বলেন শেখ হাসিনা।

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতো, সেখানে সবসময় আতঙ্ক বিরাজ করত। প্রায় দেড় শতাধিক আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের বাড়িতে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। বিএনপি-জামায়াতের ভয়াল সন্ত্রাসের মধ্যে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন নির্বাচিত হয়ে আসেন। দুর্ভাগ্য আততায়ীর গুলিতে লিটন নিহত হন।

যাদের নামে শোক প্রস্তাব গৃহীত হয়
সংসদ সদস্য মোহাম্মদ ছায়েদুল হক, সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফা আহমেদ, সাবেক ডেপুটি স্পিকার আখতার হামিদ সিদ্দিকী, সাবেক গণপরিষদ সদস্য ফজলুর রহমান ভূঁইয়া, সাবেক সংসদ সদস্য মো. জয়নাল আবেদীন সরকার, কাজী নুরুজ্জামান, গাজী আতাউর রহমান, চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হকের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়।

এছাড়া ভাষাসংগ্রামী মুহাম্মদ মুহাম্মদ তকীয়ুল্লাহ জয়নাল আবেদীন, দলিল উদ্দিন, বিজ্ঞানী আবদুল লতিফ, সংগীতশিল্পী বারী সিদ্দিকী, নৃত্যশিল্পী রাহিজা খানম ঝুনু, ওয়ালটন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের মৃত্যুতেও শোক প্রকাশ করা হয়। ইরাক-ইরান সীমান্তে ভূমিকম্পে ও মিশরে মসজিদে বোমা হামলায় এবং দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থানে দুর্ঘটনায় নিহত, ফিলিপাইনে ঘূর্ণিঝড়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের স্মরণে শোক প্রকাশ করে সংসদ।

শোক প্রস্তাব উত্থাপনের পরে অধিবেশন এক ঘণ্টার জন্য মূলতবি রাখা হয়।

সারাবাংলা/এমএ/একে/এটি

জাতীয় সংসদ সংসদ অধিবেশন

বিজ্ঞাপন

নতুন ইসির শপথ রোববার দুপুরে
২২ নভেম্বর ২০২৪ ১৪:২৩

আরো

সম্পর্কিত খবর