Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বাণিজ্যমেলায় সুন্দরবন!


৭ জানুয়ারি ২০১৮ ১৭:৪২

এমদাদুল হক তুহিন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বাণিজ্য মেলার মূল ফটক দিয়ে প্রবেশ করে হাতের বামে গেলেই মেলা সচিবালয়। সেখান থেকে সোজা সামনের দিকে গেলেই চন্দ্রিমা উদ্যান। আর প্রায় উদ্যান ঘেষেই এবার গড়ে তোলা হয়েছে সুন্দরবন ইকো পার্ক। কেওড়া, গোলপাতা, গড়ান  ও শ্বাসমূলসহ নানা প্রজাতির গুল্ম রয়েছে পার্কটিতে। রয়েছে ফাইবারে নির্মিত ৩০ টি প্রাণিও। সেখানে থাকা বাঘ, হরিণ, সাপ, বানর ও বিভিন্ন প্রজাতির পাখি দেখে মুগ্ধ শিশু দর্শনার্থীরা।

বিজ্ঞাপন

এবারের বাণিজ্যমেলায় ভিন্নতা এনেছে এই সুন্দরবন ইকো পার্ক ও অর্কিডের বাগান। প্রথমবারের মতো করা অর্কিডের বাগানে দুই প্রজাতির বিভিন্ন রঙের ফুল প্রদর্শিত হচ্ছে। আর সুন্দরবন ইকো পার্কে কেওড়া, গুলপাতাসহ নানা ধরণের গুল্ম ছাড়াও ফাইবারে নির্মিত ৩০ রকমের প্রাণী শোভা হচ্ছে। রয়েছে কিছু জীবিত পাখিও। সবুজ আর পাখির কলরবে শিশুরাও যেন মেতে উঠেছে সুন্দরবনের আবহে। হাসিমুখের জিজ্ঞাসু কণ্ঠে শিশুদের সে কী আনন্দ, যেন তা ধরার নয়। সপ্তমদিন রোববার মেলা ঘুরে দেখা গেছে এই চিত্র।

মা মারুফা বেগমের সাথে মগবাজার থেকে মেলায় এসেছে শিশু জুবায়ের হাসান। নানা স্টল আর প্যাভিলিয়ন ঘুরে এসে সে দীর্ঘ সময় পার করে সুন্দরবন ইকো পার্কের পাশে। বিভিন্ন পশু পাখি সম্পর্কে জানতে এই শিশু একের পর এক প্রশ্ন করে যাচ্ছিল তার মাকে।

বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুলের ক্লাস ওয়ানের শিক্ষার্থী জুবায়ের জানায়, মেলায় এসে তার খুব ভালো লাগছে। তার মা মারুফা বেগম সারাবাংলাকে বলেন, ‘এখানে এসে ও খুব খুশি হয়েছে। ওর খুশিতে আমিও খুশি। বাচ্চাদের জন্য এটা খুব শিক্ষণীয়। এতোক্ষণ ঘুরে সে যে আনন্দ পায়নি, এখানে এসে তার হাসিখুশি মুখ দেখে তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি আনন্দিত মনে হচ্ছে।’

বিজ্ঞাপন

দুই ছেলে মাহির তাজ ও আহনাদ তাহমিদকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে মেলায় এসেছেন রোকন উদ্দিন আহমেদ। জানতে চাইলে সারাবাংলাকে তিনি বলেন, ‘মেলায় এসে ইকো পার্ক দেখে ভালোই মনে হচ্ছে। সুন্দরবন না গিয়েও ছোট্ট শিশুরা যেন ছোট সুন্দরবন দেখার স্বাদ পাচ্ছে। বাচ্চারা খুব খুশি। তবে এটা আরও বড় পরিসরে করা গেল ভাল হত।’

সুন্দরবন ইকো পার্কের কনসেপ্ট ডিজাইনার জামিউর রহমান লেমন সারাবাংলাকে বলেন, ‘পরিবেশ সংরক্ষণে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি ও বণ্য প্রাণী সংরক্ষণের উদ্দ্যেশ্যেই এটি করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘শিশুরা এখানে আসার পর পশু পাখি সম্পর্কে জানতে চাচ্ছে। আনন্দিত হচ্ছে। এর মাধ্যমে তারা কিছুটা বিনোদিতও হচ্ছে।’

মেলা সচিবালয়ের সামনেই প্রথবারের মতো করা হয়েছে অর্কিডের বাগান। অনেকটা চতুষ্কোণ প্রকৃতির ঘরে বিভিন্ন স্তরে রাখা হয়েছে বাহারী রঙের ফুল। আর এর সামনে রয়েছে গাঁধা ফুলের বাগান।

বাগানের ডিজাইনও করেছে জামিউর রহমান লেমন। সারাবাংলাকে তিনি বলেন, এখানে ২ প্রজাতির বিভিন্ন রঙের অর্কিড রয়েছে। অর্কিড কিন্তু মাটিতে জন্মায় না। এরা পরাশ্রয়ী। এদের মূল নারিকেলের ছোবড়ার উপর স্থাপন করা হয়। প্রকৃতি থেকেই অক্সিজেন সরবরাহ করে ধীরে ধীরে বড় হয়ে উঠে। তিনি বলেন, কেবলমাত্র দর্শনার্থীদের মনোরঞ্জন করার উদ্দেশ্যেই এই বাগান করা হয়েছে।

জানতে চাইলে বাণিজ্যমেলার আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব আবদুর রউফ সারাবাংলাকে বলেন, অর্কিড সম্পর্কে মেলার দর্শনার্থীদের সচেতন করতেই এই বাগান করা হয়েছে। তারা বাহারী ফুল দেখে মুগ্ধ হচ্ছে। মেলায় ভিন্নতা আনতেই আমাদের এই প্রয়াস।

 

সারাবাংলা/ইএইচটি/জেএএম

 

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

সিটিকে সরিয়ে শীর্ষে লিভারপুল
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:২০

পদ্মায় কমেছে পানি, থামছে না ভাঙন
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:১৯

সম্পর্কিত খবর