যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়প্রার্থীতা নিষিদ্ধ করতে আইনের প্রস্তাব
৯ নভেম্বর ২০১৮ ১০:০৩
।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।
নতুন এক প্রস্তাবিত আইন অনুসারে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্ত দিয়ে প্রবেশকারী অবৈধ অভিবাসীরা দেশটিতে আশ্রয় প্রার্থনা করতে পারবেন না। এ কথা জানিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। খবর বিবিসির।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) এক ঘোষণায় যুক্তরাষ্ট্রের জাস্টিস ও হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ জানায়, প্রস্তাবিত আইন অনুসারে প্রেসিডেন্টের জারি করা নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে প্রবেশকারীদের আশ্রয় দেওয়া হবে না।
এক বিবৃতিটিতে বলা হয়, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে প্রেসিডেন্ট অভিবাসন থামাতে পারেন।
উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ২০১৮ মধ্যবর্তী নির্বাচনী প্রচারণার প্রধান বিষয়গুলোর একটি ছিল অভিবাসন। এমনকি ২০১৬ সালের নির্বাচনী প্রচারণারও অংশ ছিল এটি। সম্প্রতি দেশটির উত্তরাঞ্চলে মেক্সিকো সংলগ্ন সীমান্তে অবস্থানকারী অভিবাসী দলের প্রতিও কঠোর অবস্থান নিয়েছেন ট্রাম্প। সেখানে অভিবাসীদের সামলাতে সেনা মোতায়েন করেছেন।
বৃহস্পতিবার ভারপ্রাপ্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ম্যাথিও হোয়াইটেকার ও হোমল্যান্ড সিকিউরিটি প্রধান কির্স্টজেন নিয়েলসেন এক ঘোষণায় ‘ইন্টেরিম ফাইনাল রুল’ শীর্ষক নতুন প্রস্তাবিত আইনটি সম্বন্ধে জানান।
যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, অভিবাসন ও জাতীয় আইনের আওতায়, মার্কিন স্বার্থের জন্য ক্ষতিকারক মনে হলে প্রেসিডেন্ট যেকোনও বহিরাগতের প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে পারেন ও তাদের ওপর প্রয়োজনীয় নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারেন।
এছাড়া, প্রেসিডেন্ট যদি মেক্সিকো সংলগ্ন সীমান্তে কোন নিষেধাজ্ঞা জারি করেন তাহলে সেদিক দিয়ে প্রবেশকারী কোন অবৈধ অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়ের আবেদন করতে দেওয়া হবে না।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আজ আমরা প্রেসিডেন্টের নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে এমন বহিরাগতদের প্রবেশ বা আশ্রয় সম্পর্কিত অন্যান্য সুযোগ বাতিল করে দিতে কংগ্রেস কর্তৃক দেওয়া ক্ষমতা ব্যবহার করছি।
উল্লেখ্য, প্রস্তাবিত আইনটি পুরো যুক্তরাষ্ট্রজুড়েই কার্যকর হবে না। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প খুব শীঘ্রই এতে স্বাক্ষর করার কথা রয়েছে।
এদিকে, আইনটির বিরোধিতে করেছে দ্য আমেরিকান সিভিল লিবার্টিস ইউনিয়ন। তারা বলেছে এই আইন অবৈধ।
এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, মার্কিন আইনানুসারে, কোন ব্যক্তির প্রবেশ করার জায়গা যেটাই হোক না কেন, যুক্তরাষ্ট্রে সে আশ্রয়ের জন্য আবেদন করতে পারবে।
মার্কিন আইন অনুসারে, আশ্রয়প্রার্থী যদি নিজ দেশে সহিংসতার আশংকা থেকে আশ্রয় চায় তাহলে, তার আবেদন শোনার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
আরও পড়ুন- পদ ‘ছাড়লেন’ মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল
সারাবাংলা/ আরএ