Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ডেসটিনির এমডি-চেয়ারম্যানের জামিন সংশোধনের আবেদন খারিজ


৩০ নভেম্বর ২০১৭ ০৯:১৭

ডেসটিনির এমডি-চেয়ারম্যানের জামিন সংশোধনের আবেদন খারিজ

ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমিন ও ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেড এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনকে শর্ত সাপেক্ষে দেয়া জামিনাদেশ সংশোধন চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

ফলে ডেসটিনির দুই শীর্ষ কর্তা রফিকুল আমীন ও মোহাম্মদ হোসেনকে জামিনে মুক্তি পেতে হলে আপিল বিভাগের দেয়া শর্ত পূরণ করতে হবে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।

পরে খুরশীদ আলম খান সারাবাংলাকে জানান, হাইকোর্ট জামিন দেওয়ার পর আপিল বিভাগ হাইকোর্টের জামিনাদেশ প্রথম পর্যায়ে স্থগিত করেন। পরবর্তীতে আপিল বিভাগ শর্ত সাপেক্ষে জামিন দেন। কিন্তু সেই শর্ত সংশোধন চেয়ে তারা আবারও আবেদন করেন। আদালত আজ ওই আবেদনটি খারিজ করে দেন।

২০১২ সালের ৩১ জুলাই রফিকুল আমিন ও মোহাম্মদ হোসেনসহ ডেসটিনি গ্রুপের ২২ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর কলাবাগান থানায় দু’টি মামলা করে দুদক। ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেশন (এমএলএম) ও ট্রি-প্ল্যানটেশন প্রকল্পের নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে সংগৃহীত অর্থের মধ্যে ৩ হাজার ২৮৫ কোটি ২৫ লাখ ৮৮ হাজার ৫২৪ টাকা আত্মসাৎ করে পাচারের অভিযোগে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা দু’টি করা হয়।

বর্তমানে এ মামলায় দু’জনই কারাগারে রয়েছেন।

গত বছরের ২০ জুলাই শর্তসাপেক্ষে রফিকুল আমিন ও মোহাম্মদ হোসাইনকে জামিন দেন হাইকোর্ট। পরে দুদকের আবেদনে তা স্থগিত করে দেন আপিল বিভাগ। এ আবেদনের শুনানির এক পর্যায়ে আত্মসাৎ করা টাকা জমা দেওয়ার কথা বলেন সর্বোচ্চ আদালত।

সে অনুসারে গত বছরের ১৩ নভেম্বর ডেসনিটির পক্ষ থেকে গাছ বিক্রি করে টাকা দেওয়ার কথা বলা হয়। ওইদিন হলফ নামা দিয়ে আদালতকে জানানো হয় যে, তাদের কাছে ৩৫ লাখ গাছ আছে। প্রতিটি গাছ আট হাজার টাকায় বিক্রি করে ২ হাজার ৮০০ কোটি টাকা দিতে পারবেন তারা।

এ হলফ নামার প্রেক্ষিতে জামিনের শর্ত পূরণে দুই আসামি যে কারাগারে আছেন, সেখানে তাদের সঙ্গে গাছ বিক্রির সকল কাগজপত্রে স্বাক্ষর ও আলোচনার সুযোগ দিতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।

গত ৩০ জুলাই দুর্নীতি দমন কমিশনের কাছে ডেসটিনির জব্দকৃত স্থাবর-অস্থাবর ৭৮৬ কোটি ২৫ লাখ ১৩ হাজার ৪৮৭ দশমিক ৯৩ টাকা সম্পত্তির হিসাব আদালতে দাখিল করা হয়। যার মধ্যে নগদ অর্থ হচ্ছে ১৫৩ কোটি ৮৪ লাখ ৭৯ হাজার ৫৯২ দশমিক ৯৩ টাকা। এছাড়াও রয়েছে ১১২টি গাড়ি ।

এর আগে গত ১৬ জুলাই ডেসটিনির ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জব্দকৃত অর্থের পরিমাণ জানতে চেয়েছিলেন আপিল বিভাগ। দুর্নীতি দমন কমিশনকে ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে এ হিসাব দাখিল করতে বলা হয়। সে অনুসারে হিসাব জমা দেয় দুদক।

সারাবাংলা/এজেডকে/এমএ/নভেম্বর ৩০,২০১৭

ডেসটিনি হাইকোর্ট


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর