শ্রীলংকায় পার্লামেন্ট ভাঙন, জানুয়ারিতে নির্বাচন
১০ নভেম্বর ২০১৮ ১২:৩১
।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।
চলমান রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়েছেন শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা। আগামী বছরের জানুয়ারিতে আগাম নির্বাচনের ডাক দিয়েছেন। খবর আল জাজিরার।
শুক্রবার (৯ নভেম্বর) সিরিসেনার জোট পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারবে না বলে স্বীকারোক্তি দেওয়ার পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে পার্লামেন্ট ভেঙে আগাম নির্বাচনের ডাক দেন সিরিসেনা। এতে করে শ্রীলংকার চলমান রাজনৈতিক সংকট নতুন মোড় নিল।
গত মাসের শেষ সপ্তাহে আচমকা রনিল বিক্রমসিংহকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে বরখাস্ত করে মাহিন্দা রাজাপাকসাকে তার জায়গায় নিয়োগ দেন সিরিসেনা। এরপর থেকেই দেশটিতে চরম রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করছে।
সিরিসেনা শুক্রবার বলেন, স্থানীয় সময় শুক্রবার মধ্যরাত থেকে বর্তমান পার্লামেন্টের ভাঙন কার্যকর হবে। আগামী ১৭ জানুয়ারি নতুন আইনসভা নিয়ে পার্লামেন্টের কার্যক্রম পুনরায় শুরু হবে।
বিক্রমসেনার ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টি (ইউএনপি) তাৎক্ষণিকভাবে নতুন পদক্ষেপের প্রতি নিন্দা জানিয়েছে। দলটি টুইটারে লিখেছে, আমরা পার্লামেন্টের ভাঙন প্রত্যাখ্যান করছি। এছাড়া সিরিসেনার বিরুদ্ধে জনগণের অধিকার ও গণতন্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ এনেছে ইউএনপি।
ইউএনপি যুক্তি দেখিয়েছে যে, প্রেসিডেন্টের নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতাচ্যুত করার ক্ষমতা নেই। দলটি পার্লামেন্টে বিক্রমসিংহের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য নতুন করে ভোটের দাবি জানিয়েছে। উল্লেখ্য, ২৬ অক্টোবর বরখাস্ত হওয়ার পর থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েই অবস্থান করছেন বিক্রমসিংহ।
এদিকে, পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ না করা পর্যন্ত রাজাপাকসার প্রধানমন্ত্রীত্ব মেনে নেবেন না বলে জানিয়েছেন দেশটির স্পিকার।
মন্ত্রীসভার সদস্য দায়াসিরি জয়াসেকারা বলেন, পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া ছাড়া সিরিসেনার হাতে কোন পথ খোলা ছিল না। কেননা বিক্রমসিংহ হার মানতে নারাজ।
তিনি বলেন, পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া প্রেসিডেন্টের সাংবিধানিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। এখন সবচেয়ে ভাল পদক্ষেপ হচ্ছে নির্বাচনে যাওয়া। জনগণও এটাই চায়।
নতুন প্রধানমন্ত্রী রাজাপাকসা সিরিসেনার পদক্ষেপকে স্বাগতম জানিয়েছেন। তিনি টুইটারে লিখেন, একটি সাধারণ নির্বাচনে জনগণের ইচ্ছার সত্যিকার প্রতিফলন হবে ও দেশের অবস্থা স্থিতিশীল হবে।
সারাবাংলা/ আরএ