Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বেসিক ব্যাংকের বাচ্চুকে আবারো দুদকে তলব


৭ জানুয়ারি ২০১৮ ২০:২৫

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ঋণ জালিয়াতির মামলায় বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবারো তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার বিকেলে দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি বাচ্চুর ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে তাকে সোমবার সকাল ৯টায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে। দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্রাচার্য্য সারাবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর বেসিক ব্যাংকের সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতির মামলায় প্রথমবারের মতো বাচ্চুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। পরে গত ৬ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু গত ১৭ ডিসেম্বর বেসিক ব্যাংকের সাবেক এই চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিন ঠিক থাকলেও তিনি দুদকের ডাকে সাড়া দেননি। বরং অসুস্থতার কথা বলে দুদকের কাছে এক মাস সময় চান। কিন্তু দুদক তার সময় আবেদনে সাড়া না দিয়ে সোমবার দুদক কার্যালয়ে উপস্থিত হতে তাকে চিঠি পাঠান।

বাচ্চুসহ পরিবারের ১১ সদস্যের ব্যাংক হিসাব তলব: বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারমান শেখ আবদুল হাই বাচ্চুসহ তার পরিবারের ১১ সদস্যদের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে দুদক। বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘বাংলাদেশ ফাইনান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি এন্ড কাস্টমার সার্ভিসেস ডিপার্টমেন্ট’-এর কাছে এদের ব্যাংক হিসাব ও আর্থিক লেনদেনের বিবরণী চাওয়া হয়।

গত ২৩ ডিসেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক মো. সামসুল আলম বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি দেন। চিঠিতে বাচ্চু, তার স্ত্রী শিরীন আক্তার, ছেলে শেখ ছাবিদ হাই অনিক ও মেয়ে শেখ রাফা হাই, ভাই শেখ ওয়াহিদুজ্জামান, শেখ খালেকুজ্জামান, শেখ শাহরিয়ার পান্না, শেখ জনি, বোন শেখ সাদিয়া বুলু, শেখ মমতাজ রুমি ও শেখ শিউলি আক্তারের আর্থিক লেনদেনের রেকর্ড চাওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এর বাইরে বাচ্চু ও তার পরিবারের তিনটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংকিং কার্যক্রমের তথ্য চাওয়া হয়েছে। এগুলো হলো- ইডেন ফিশারিজ লিমিটেড, ক্রাউন প্রোপর্টিজ ও বিএম কম্পিউটার্স। দুদকে এই তথ্য সরবরাহের জন্য সব তফসিলি ব্যাংককে নির্দেশ দিতেও বাংলাদেশ ব্যাংককে বলা হয়েছে। চিঠিতে বাচ্চুসহ তার পরিবারের ১১ সদস্য ও তিনটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত সব ধরণের রেকর্ডপত্র সরবরাহের জন্য চিঠিতে বলা হয়।

২০১৫ সালের ২১, ২২ ও ২৩ সেপ্টেম্বরে বেসিক ব্যাংকের অর্থ লোপাটের ঘটনায় ৫৬টি মামলা দায়ের করে দুদক। মামলায় ১২০ জনকে আসামী করা হলেও কোথাও বাচ্ছুকে আসামী করা হয়নি। পরে উচ্চ আদালত থেকে নির্দেশনা আসার পরই মূলত বেসিক ব্যাংক মামলার তদন্তের মাঝ পর্যায়ে গত ৪ ও ৬ ডিসেম্বর দুই দফা বাচ্চুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। জিজ্ঞাসাবাদে বাচ্চু দুদকের কাছে ঋণ অনিয়মের বিষয়টি স্বীকার করে বলেছেন, তিনি একা নন। পর্ষদেরও দায় আছে।

শেখ আবদুল হাই বাচ্চুকে ২০০৯ সালে বেসিক ব্যাংকের চেয়ারমান পদে নিয়োগ দেয় সরকার। ২০১২ সালে তার নিয়োগ নবায়নও হয়। কিন্তু ঋণ কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠলে ২০১৪ সালে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ফখরুল ইসলামকে অপসারণ করা হয়। পরে বেসিক ব্যাংকের তৎকালিন চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চু পদত্যাগ করেন।

সারাবাংলা/জিএস/জেডএফ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর