নির্বাচনের ময়দানকে উঁচু-নিচু রাখা চলবে না: বি. চৌধুরী
১০ নভেম্বর ২০১৮ ২২:৪০
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক এ.কিউ.এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, আমরা নির্বাচনে যাবো কিন্তু সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকতে হবে। নির্বাচনের ময়দানকে উঁচু-নিচু রাখা চলবে না।
শনিবার (১০ নভেম্বর) বিকালে রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের যুক্তফ্রন্টে যোগদান উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বি. চৌধুরী একথা বলেন।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রেসিডেন্ট এবং নির্বাচন কমিশনকে এখন বুঝতে হবে নির্বাচন সাথে সংশ্লিষ্ট কেউ এখন সরকারের অধীনে নয়। সুতরাং কমিশনকে তাদের একশভাগ ক্ষমতা প্রয়োগ করতে হবে। না হলে ইতিহাস তাদের ক্ষমা করবে না। তিনি প্রেসিডেন্টকে উদ্দেশ্য করে বলেন নির্বাচন কমিশন এখন আপনার অধীনে। আপনি কমিশনকে সঠিক নির্দেশনা দিবেন আমি আশা করি এবং ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
সংবাদপত্রকে পূর্ণ স্বাধীন করে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বি. চৌধুরী বলেন, সংবাদপত্র, টেলিভিশন ও রেডিওর সাংবাদিকগণ ভয়ভীতির ঊর্ধ্বে থেকে কাজ করবেন।
তিনি বলেন, যুক্তফ্রন্ট একটি শান্তি সুখের বাংলাদেশ চায়। উন্নয়ন ও গণতন্ত্র হাতে হাত ধরে চলবে। আমাদের রক্তভেজা পতাকা এবং মুক্তিযুদ্ধকে যারা স্বীকার করে না তাদের সাথে রাজনীতি করতে চাই নাই। আমরা কি ভুল করেছি, অপরাধ করেছি? যারা দাওয়াত দিয়ে দরজা বন্ধ করে রেখেছিল তাদের বক্ষ হিংসা ও ঘৃণায় আবদ্ধ। সেই জন্য তাদের গ্রহণ করি নাই।
বি. চৌধুরী বলেন, নিমজ্জিত বাংলাদেশকে উদ্ধার করার জন্য যুক্তফ্রন্ট এগিয়ে এসেছে। বাংলাদেশ এখন ঘৃণা, অশ্রদ্ধা ও হিংসায় ভরপুর। বিকল্পধারার প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম রেজাকে সমাবেশস্থলে আসতে মিরপুরে তার প্রতিটি গাড়ি আটকে আক্রমণ করা হয়েছে। আমি এর তীব্র নিন্দা করি। তিনি বলেন, যারা বাংলাদেশের পরিবেশ দূষিত করেছে ইতিহাস তাদের কোনো দিন ক্ষমা করবে না।
যুক্তফ্রন্টের অন্যতম নেতা বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে যোগদান অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন যুক্তফ্রন্টের প্রেসিডিয়াম সদস্য শমসের মবিন চৌধুরী, যুক্তফ্রন্টের প্রধান সমন্বয়ক ও বিকল্পধারার প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম সারোয়ার মিলন, যুক্তফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিকল্পধারার প্রেসিডিয়াম সদস্য মাহী বদরুদ্দোজা চৌধুরী, বিকল্পধারার প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম রেজা, মজহারুল হক শাহ চৌধুরী, বিএলডিপি চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন আল আজাদ, বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি, এনডিপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তুজা, শেখ জাতীয় জনতা পার্টির সভাপতি মো. আসাদুজ্জামান, জন দল চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান জয় চৌধুরী, বাংলাদেশ মাইনরিটি ইউনাইটেড ফ্রন্ট সভাপতি দীলিপ কুমার দাস, লেবার পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হামদুল্লাহ আল মেহেদী, গণ সংস্কৃতি দলের সভাপতি সরদার শামস আল মামুন, বিএলডিপির মহাসচিব অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন খান, বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূইয়া, এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, জনদল মহাসচিব সেলিম আহাম্মেদ, লেবার পার্টির যুগ্ম মহাসচিব মহসিন ভূইয়া, বিকল্পধারার প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রউফ মান্নান, ইঞ্জিনিয়ার মুহম্মদ ইউসুফ, বিকল্পধারার সহ সভাপতি মহামুদা চৌধুরী, শিপ্রা রহিম, প্রমুখ।
যুক্তফ্রন্টে যোগ দেওয়া দলগুলো হচ্ছে, অধ্যাপক ডা. এম.এ. মুকিতের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, আবু লায়েস মুন্নার বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট, সরদার শামস আল মামুনের নেতৃত্বাধীন গণ সংস্কৃতি দল, সালাউদ্দিন সালুর নেতৃত্বাধীন এনপিপি ও এনডিএফ জোট, বাংলাদেশ শরীয়া আন্দোলন। এ ছাড়া বিকল্পধারা বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার ওমর ফারুকের নেতৃত্বে ঢাকা বার ও মেট্রোবারের ২৫ জন আইনজীবী বিকল্পধারায় যোগ দিয়েছেন।
সারাবাংলা/এইচএ/এনএইচ