পদোন্নতি পেলেন পুলিশের অতিরিক্ত আইজি মোখলেসুর রহমান
৮ জানুয়ারি ২০১৮ ১১:৪৬ | আপডেট: ৮ জানুয়ারি ২০১৮ ১১:৪৭
সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরির্দশক (অতিরিক্ত আইজিপি) মো. মোখলেসুর রহমানকে বাংলাদেশের সরকারি সর্বোচ্চ পদ গ্রেড-১ পদে পদোন্নতি দিয়েছে সরকার।
গতকাল শনিবার (৭ জানুয়ারি ২০১৮) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ পুলিশ-১ অধিশাখার উপসচিব মোঃ ইলিয়াস হোসেন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে ।
গত ৩ বছর ধরে তিনি পুলিশ সদর দপ্তরে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে অতিরিক্ত আইজিপি প্রশাসন ও অপারেসনস হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
পুলিশ সদর দপ্তরে অতিরিক্ত আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আগে তিনি বাংলাদেশের ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট- সিআইডি’র প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার আগে তিনি পুলিশের ঢাকা বিভাগের ডিআইজি, পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি (ট্রেনিং) সারদা পুলিশ একাডেমীর প্রিন্সিপাল (ডিআইজি) , বরিশাল আরআরএফের কমান্ডেন্ট, পুলিশ সুপার গাজীপুর, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি মতিঝিলসহ পুলিশ বিভাগের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
বাংলাদেশ পুলিশের ৮৫ ব্যাচের সদালাপী এই কর্মকর্তা চাকুরী জীবনের শুরু থেকেই অত্যন্ত সৎ ও দক্ষতার সঙ্গে তার উপর অর্পিত সকল দায়িত্ব পালন করে আসছেন । তিনি সিআইডি প্রধান থাকার সময় আন্তর্জাতিকভাবে বহুল আলোচিত ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট তারিখে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও তৎকালীন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার জনসভায় গ্রেনেড হামলা মামলা ও বিএনপি-জামাত জোট সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ চট্টগ্রামের সার কারখানা জেটি থেকে পাচার ও নাশকতার উদ্দেশ্যে আমদানি করা আলোচিত দশ ট্রাক অস্ত্র উদ্ধার মামলা, চাঞ্চল্যকর অর্থ পাচার মামলাসহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ মামলার সঠিক ও নির্ভুল তদন্ত করে চার্জশীট প্রদান করেন ।
এছাড়াও চাকরি জীবনের প্রথম দশকে তিনি রাজধানীর একটি স্পর্শকাতর জোন থেকে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি লে. কর্নেল ফারুক, লেঃ কর্নেল রশীদ ও খায়রুজ্জামানকে গ্রেফতার করেন। ১৯৯৬ সালের ১৩ আগস্ট তিনি এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন । এসময় তিনি এসবি’র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ৭৫ পরবর্তী সময়ে এটিই ছিল জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু’র খুনিদের বিরুদ্ধে সরকারের নেওয়া প্রথম পদক্ষেপ। পুলিশের এসবি’র মত একটি নন অপারেশনাল ইউনিটের এটি অনবদ্য অপারেশন। বাংলাদেশ সৃষ্টির পর থেকে আজ পর্যন্ত এটাই এসবি’র একমাত্র অপারেশন। এর আগে বা পরে আর কখনই এসবি কোন অভিযান পরিচালনা করেনি।
সারাবাংলা/ইউজে/টিএম/এমএ