আসন ভাগ নিয়ে শিগগিরই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এরশাদের বৈঠক
১৩ নভেম্বর ২০১৮ ১১:৫৬
।। আজমল হক হেলাল, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
আসন ভাগাভাগি নিয়ে দুই একদিনের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনায় বসবে জাতীয় পার্টি। কোন কোন আসন চান এবং কাদের প্রার্থী করবেন তা দলটির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এরইমধ্যে চূড়ান্ত করেছেন বলে জাতীয় পার্টির একটি দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।
সূত্রটি জানায়, প্রধানমন্ত্রী সময় দিলেই হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এবং সিনিয়র কো চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ বিষয়টি নিয়ে তার সঙ্গে বসবেন। এছাড়া জাতীয় পার্টি যে সব আসনে প্রার্থী দিতে চায় তার তালিকাও আওয়ামী লীগ থেকে চাওয়া হয়েছে।
এসব তথ্য শুনেছেন বলে জানান দলের কো চেয়ারম্যান জিএম কাদের। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, ‘শুনেছি আওয়ামী লীগ থেকে দলের আসনের তালিকা চেয়েছে। হয়ত দুই একদিনের মধ্যে বসতে পারে। কত আসন চাওয়া হবে, কত আসন দেওয়া হবে এ ব্যাপারে এখনো সুর্নিষ্টভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না।’
তবে আরেকটি সূত্র বলছে, দশম জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির যে সংসদ সদস্যরা ছিলেন তারা ছাড়া দলে যোগ্য প্রার্থীর খুবই অভাব। সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে এই সংসদ সদস্যদের মধ্যেও অনেকে ঝরে পড়তে পারেন। ফলে জোটবদ্ধভাবেই নির্বাচন করবে জাতীয় পার্টি। তবে এবার আসন ভাগাভাগির বিষয়টি নিয়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ একটু শক্ত অবস্থান নেবেন বলে জানিয়েছে সূত্রটি।
এরশাদের এই শক্ত অবস্থান নেওয়ার কারণ বিএনপি। দলটির একটি অংশ এরশাদকে তাদের জোটে বা দলে টানতে চাইছেন। এজন্য যে কোনো সমসয় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় পার্টির প্রধান এরশাদের সঙ্গে এসব বিষয় নিয়ে বৈঠন করতে পারেন বলেও সূত্রটি আভাস দিয়েছে। আর মধ্যস্ততা যারা করছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যরিস্টার মওদুদ আহমদ।
এর আগে গত রোববার (১১ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশান-১ সার্কেলের ইমানুয়েলস্ মিলনায়তনে জাতীয় পার্টির মনোনয়নপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এরশাদ বলেন, ‘আমাদের যাত্রা শুরু হলো, চূড়ান্ত বিজয়ের মধ্য দিয়ে এই যাত্রা শেষ হবে, জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় যেতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত’।
অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়নপত্র কেনেন। এরমধ্যে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ রংপুর-৩, রওশন এরশাদ ময়মনসিংহ-৪, কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের লালমনিরহাট-৩ এবং মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার পটুয়াখালী-১ আসনে মনোনয়ন কিনেছেন।
এ ছাড়া জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি, কাজী ফিরোজ রশীদ, জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, ফখরুল ইমাম এমপি, অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি, সৈয়দ আবদুল মান্নান, সুনীল শুভ রায়, এস এম ফয়সল চিশতি, মীর আবদুস সবুর আসুদ, নাসরিন জাহান রতনা এমপি, মেজর (অব.) খালেদ আখতার, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, পীরজাদা শফিউল্লাহ আল মুনির, সেলিম উদ্দিন এমপি, জিয়াউল হক মৃধা এমপি, লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি, আমীর হোসেন ভূইয়া এমপি, রেজাউল ইসলাম ভূইয়া, ইকবাল হোসেন রাজু, গোলাম মোহাম্মদ রাজু, আশরাফ সিদ্দিকী, বাবু সোমনাথ দে, জহিরুল ইসলাম জহির, জহিরুল ইসলাম রুবেল, সুমন আশরাফ, রেজাউল করিম, রোকন উদ্দিন বাবুল, ডা. সেলিনা খান, নুরুন্নাহার বেগম, জাহানারা মুকুল, নাজমা আক্তার ও পনির উদ্দিন আহমেদসহ দলের অন্য নেতারা মনোনয়ন ফরম কেনেন।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/এসএমএন