হঠাৎ কেন এত শীত?
৮ জানুয়ারি ২০১৮ ১৩:১৯
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা : নতুন বছরের প্রথম থেকেই শীতে জবুথুবু দেশের বিভিন্ন জনপদ। ধীরে ধীরে নামছে তাপমাত্রার পারদ। দেশের ইতিহাসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ডও হয়েছে সোমবার। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ১৯৬৮ সালের পর এটাই বাংলাদেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। ওই বছর তেঁতুলিয়ায় ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।
এছাড়া দেশের উত্তরাঞ্চল জুড়ে অধিকাংশ স্থানেই তাপমাত্রা ৩ এর নিচে নেমে এসেছে। যা গত ৫০ বছরের সর্বনিম্ন। সোমবার নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরে তাপমাত্রা ২.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
শুধু উত্তরাঞ্চল নয়, দেশের অন্যান্য জেলার মতো ঢাকাতেই তুলনামূলক শীত বেশি পড়ছে। ঢাকায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (সোমবার সোয়া ১টা) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকালে ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কিন্তু কেন এই শীতের প্রকোপ? আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আয়েশা খাতুন সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, স্বাভাবিকভাবে জানুয়ারি শীতের মাস। এ মাসে বেশি শীত পড়বে এটিই স্বাভাবিক।
হঠাৎ শীত বাড়ার কারণ সম্পর্কে তিনি জানান, এ সময় উপমহাদেশে উচ্চ বলয় প্রবাহ ও ঊর্ধ্বাকাশে জেড উইং প্রবাহ নিচে নেমে আসে। এ কারণে শীতের প্রকোপ অন্যান্য সময়ের চেয়ে বেশি।
চলমান শৈত্যপ্রবাহের সঙ্গে যোগ হয়েছে ঘন কুয়াশা। এটিও শীতের তীব্রতা বাড়ার কারণ বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
‘এরকম অবস্থা আরো দুই তিনদিন থাকবে। তবে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়বে’ বলেন আয়েশা খাতুন।
এই আবহাওয়ায় কৃষিখাতে প্রভাব ফেলবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ঘন কুয়াশা ও বাতাসের কারণে মৌসুমী ফসলের ক্ষতি হতে পারে।
গত কয়েকদিনে সারাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। এতে জনজীবনে নেমে এসেছে ভোগান্তি।
উত্তরাঞ্চলীয় জেলাগুলোর প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, সকালে তীব্র ঠাণ্ডায় মানুষের স্বাভাবিক কাজ কর্ম ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া বিকেল থেকেই তাপমাত্রা নিম্নগামী হওয়ায় সন্ধ্যার পরপরই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজার ও দোকানপাট।
সারাবাংলা/জেডএফ/একে