আবার সরব রোহিঙ্গা বিদ্রোহীরা
৮ জানুয়ারি ২০১৮ ১৫:০৮
সারাবাংলা ডেস্ক
রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে গত ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই করা হয়। সে অনুযায়ী, সামনের ২৩ জানুয়ারির মধ্যে ফেরত নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করার কথা। এরই মধ্যে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) ফের লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
গত শুক্রবার আরসা বিদ্রোহীরা মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে একটি আর্মি ট্রাকে হামলা করে। এতে ৫ জন আর্মি সদস্য আহত হয়েছে বলে জানায় দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম।
সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জানায় ২০ জন বিদ্রোহীর একটা দল ঘরে বানানো মাইন এবং হালকা কিছু অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়।
রোববার আরসা বিদ্রোহী গোষ্ঠীর নেতা আতা উল্লাহ টুইটারে হামলার দায় স্বীকার করে বলেছেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে রক্ষা, তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য রোহিঙ্গাদের ‘বার্মিজ রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের’ বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়া ছাড়া আর কোনো সুযোগ নেই।
গত বছর ২৪ অগাস্ট এ বিদ্রোহী গোষ্ঠী মিয়ানমারের ও একটি সেনা ঘাঁটি ও ৩০টি পুলিশ পোস্টে হামলা চালায়। এরপর ২৫ অগাস্ট রাখাইনে বিদ্রোহীদের দমন করতে সেনাবাহিনীর অভিযান চলে। সেনা অভিযানের সহিংসতায় প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সাড়ে ছয় লাখেরও বেশি মানুষ। পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের থেকে জানা যায় গণহত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগ।
একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মেদসঁ সঁ ফ্রঁতিয় তাদের প্রতিবেদনে জানায়, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সন্ত্রাস নির্মূলে চালানো অভিযানে এক মাসেই ৬ হাজার ৭০০ মানুষ নিহত হয়েছে। যদিও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী।
২৪ অগাস্টের পরে আরসা বিদ্রোহী গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে আর কোনো হামলা চালানো হয়নি। শুক্রবারের সেনাবাহী ট্রাকে হামলা করায় আবার তারা আলোচনায় এলো।
সারাবাংলা/এমএ/একে