মনোসামাজিক প্রতিবন্ধী তরুণী ধর্ষণ, যুবক গ্রেফতার
১৩ নভেম্বর ২০১৮ ১৭:২১
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে মনোসামাজিক প্রতিবন্ধী এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার পর ধর্ষিতা তরুণী নগরীর তিনটি থানায় মামলা দায়ের করতে গেলেও পুলিশ তাকে ফিরিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সমাজসেবা অধিদফতরের একটি প্রকল্পের এক কর্মীর সহযোগিতায় শেষ পর্যন্ত আদালতে মামলা দায়ের হলে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিশন (পিবিআই) অভিযুক্ত ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে।
মঙ্গলবার (১৩ নভেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও এলাকা থেকে জাকির হোসেন (২৯) নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করে বলে সারাবাংলাকে জানিয়েছেন পিবিআই’র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মেট্রো) মো. মইনউদ্দিন।
সমাজসেবা অধিদপ্তরের চট্টগ্রামের সিএসপিবি প্রকল্পের কর্মকর্তা সানোয়ারা বেগম রিমঝিম সারাবাংলাকে জানান, ধর্ষিতা তরুণী শৈশব থেকে চট্টগ্রাম নগরীর রউফাবাদে সমাজসেবা অধিদফতরের আশ্রয়কেন্দ্র মামণি নিবাসে আশ্রিতা ছিলেন। দুইবছর আগে বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ায় সমাজসেবা অধিদফতরের পুর্নবাসন প্রকল্পের আওতায় তাকে সিইপিজেডে একটি কারখানায় চাকরি দেওয়া হয়। সেখানে একটি হোস্টেলে ওই তরুণী থাকতেন।
গত ৩ অক্টোবর পূর্বপরিচয়ের সূত্র ধরে জাকির হোসেন তাকে ফুসলিয়ে নগরীর স্টেশন রোডে হোটেল গেস্ট ইন’র দ্বিতীয় তলায় ১১৮ নম্বর কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করে। একদিন পর ওই তরুণী বিষয়টি মামণি নিবাসে গিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানান। তবে প্রথমে হোটেলের ঠিকানা সঠিকভাবে বলতে পারেনি ওই তরুণী।
‘ঘটনা জানার পর আমরা প্রথমে ডবলমুরিং থানায় মামলা করার জন্য যাই। সেখান থেকে আমাদের খুলশী থানায় পাঠানো হয়। খুলশী থানা থেকে কোতোয়ালী থানায় পাঠানো হয়। কোতোয়ালী থানা থেকে পুলিশ ওই তরুণীর দেখানোমতে হোটেল গেস্ট ইনে যায়। তবে পর্যাপ্ত প্রমাণ না পাওয়ার কথা বলে মামলা নেওয়া হয়নি। এরপর আমরা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে যায়। সেখানে দেরি করে যাবার অজুহাতে তাকে তিন দফা পরীক্ষা না করে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।’ বলেন রিমঝিম
এই ঘটনায় গত ২৪ অক্টোবর চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের হয়। আদালত মামলটি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক (মেট্রো) কাজী এনায়েত কবির সারাবাংলাকে বলেন, ‘গ্রেফতারের পর অভিযুক্ত জাকির ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। হোটেলের নির্ধারিত কক্ষও সে দেখিয়ে দিয়েছে। এছাড়া ভিকটিমও আসামিকে শনাক্ত করেছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারায় জবানবন্দি নেওয়ার জন্য জাকিরকে আদালতে হাজির করা হয়েছে।’
সারাবাংলা/আরডি/এমএইচ